তিনি প্যারোলে মুক্তির আবেদন করলে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় তা মঞ্জুর করে। সেই কাগজপত্র পৌঁছালে শুক্রবার দুপুরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতাল থেকে তাকে মুক্তি দেওয়া হয়।
কেরানীগঞ্জের ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের জেল সুপার সুভাষ কুমার ঘোষ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “উনি কারা তত্ত্বাবধানে হাসপাতালে ছিলেন। সেখান থেকেই আজ সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত তাকে প্যারোলে মুক্তি দেওয়া হয়েছে।”
শুক্রবার সকাল ৭টা ২০ মিনিটে রাজধানীর শ্যামলীতে নিজের বাসায় মারা যান সেলিমের ভাই কায়েস। তার বয়স হয়েছিল ৭২ বছর।
হাজী সেলিমের ব্যক্তিগত সচিব মহিউদ্দিন আহমেদ বেলাল বলেন, বার্ধক্যজনিত নানা জটিলতায় ভুগছিলেন হাজী কায়েস। জুমার পর চকবাজার শাহী জামে মসজিদে তার জানাজা হয়। আজিমপুর কবরস্থানে তাকে দাফন করা হবে। হাজী সেলিম তার বড় ভাইয়ের জানাজা ও দাফনে অংশ নেবেন।
দুর্নীতি মামলায় ১০ বছরের দণ্ডপ্রাপ্ত হাজী সেলিমের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে গত ২২ মে তাকে কারাগারে পাঠায় আদালত।
ওইদিনই তাকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে নেওয়া হয় চিকিৎসার কথা বলে। এরপর থেকে কারা তত্ত্বাবধানে হাসপাতালেই আছেন এ সংসদ সদস্য।