পদ্মা সেতু নিয়ে ‘ষড়যন্ত্র’: রুল শুনানির জন্য উঠছে হাই কোর্টে

পদ্মা সেতু প্রকল্পে ‘দুর্নীতির মিথ্যা গল্প’ বানানোর নেপথ্যের ‘প্রকৃত ষড়যন্ত্রকারীদের’ খুঁজে বের করে তাদের বিচারের মুখোমুখি করার প্রশ্নে দেওয়া রুল সোমবার হাই কোর্টে উঠছে শুনানির জন্য।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 26 June 2022, 02:29 PM
Updated : 26 June 2022, 02:30 PM

পদ্মা সেতু উদ্বোধনের পরদিন রোববার রাষ্ট্রপক্ষ পাঁচ বছর আগে জারি হওয়া ওই রুলের শুনানি চেয়ে তা আদালতে উপস্থাপন করে।

বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কাজী মো. ইজারুল হক আকন্দের হাই কোর্ট বেঞ্চ তখন সোমবার শুনানির দিন ঠিক করে।

সংশ্লিষ্ট হাই কোর্ট বেঞ্চে দায়িত্বরত ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক বিষয়টি আদালতে উপস্থাপন করেন।

তিনি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “এ বিষয়ে পাঁচ বছর আগের একটি রুল জারি করা হয়েছিল, আজ আমি রুলের বিষয়টি শুনানির জন্য আদালতে উপস্থাপন করেছি, এ বিষয়ে শুনানির জন্য আগামীকাল  সময় নির্ধারণ করবে বলে আদালত উল্লেখ করেছে।”

২০১৭ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি পদ্মা সেতু প্রকল্পে ‘দুর্নীতির মিথ্যা গল্প’ সংক্রান্ত স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে রুল জারি করে বিচারপতি কাজী রেজা-উল হক ও বিচারপতি মোহাম্মদ উল্লাহর হাই কোর্ট বেঞ্চ।

ওই রুলে ‘ষড়যন্ত্রকারীদের’ খুঁজে বের করতে ১৯৫৬ সালের ‘ইনকোয়ারি অ্যাক্ট’র তৃতীয় অনুচ্ছেদ এবং সংশ্লিষ্ট অন্যান্য আইন অনুযায়ী কমিটি বা কমিশন গঠনের নির্দেশ কেন দেওয়া হবে না- তা সরকারের কাছে জানতে চাওয়া হয়।

সেই সঙ্গে ‘প্রকৃত ষড়যন্ত্রকারীদের’ কেন বিচারের মুখোমুখি করা হবে না- তাও জানতে চায় আদালত।

ওই রুলে মন্ত্রিপরিষদ সচিব, স্বরাষ্ট্র সচিব, আইন সচিব, যোগযোগ সচিব, দুদক চেয়ারম্যান ও আইজিপিকে বিবাদী করা হয়।

এছাড়া কমিটি বা কমিশন গঠনে কী উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে, তা জানিয়ে ৩০ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে মন্ত্রিপরিষদ সচিবকে নির্দেশ দিয়েছিল আদালত।

পরে ওই কমিশন গঠন নিয়ে সরকারের তিনটি মন্ত্রণালয়ে চিঠি চালাচালির পর এই বিষয়ে গত পাঁচ বছরে আর কোনো অগ্রগতি হয়নি। এর মধ্যে রুল জারি করা হাই কোর্টের ওই বেঞ্চের পরিবর্তন হওয়ার পর এই সময়ে মামলাটি আর কোনো বেঞ্চে উঠেনি।

পাঁচ বছর আগে স্বতঃপ্রণোদিত যেসব প্রতিবেদন আমলে নিয়ে এই রুল আদালত দিয়েছিল, তার মধ্যে একটির শিরোনাম ছিল-‘ইউনূসের বিচার দাবি’।

পদ্মায় বাংলাদেশের দীর্ঘতম সেতু নির্মাণে বিশ্ব ব্যাংকের অর্থায়ন আটকাতে নোবেলজয়ী মুহাম্মদ ইউনূসের ‘ষড়যন্ত্র’ ছিল বলে সব সময় বলে আসছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা । তবে ইউনূস সেই অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেন।