তিনি মনে করেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দৃঢ় প্রত্যয় এবং দূরদর্শিতার কারণেই ‘সময়ের মধ্যে’ এবং খরচ না বাড়িয়ে দেশের বৃহত্তম এই যোগাযোগ অবকাঠামো নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হয়েছে।
শনিবার মুন্সীগঞ্জের মাওয়ায় পদ্মা সেতুর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রারম্ভিক বক্তব্যে এসব কথা বলেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম।
বক্তব্যের শুরুতে পদ্মা সেতু নির্মাণের জন্য সবার পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ জানান।
খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, “গত এগারো বছর তিনি দৃঢ় প্রত্যয়, দূরদর্শিতা এবং সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। নইলে এই সেতু নির্মাণে বিশ বছর সময় লাগতো। খরচ হতো ১৫ বিলিয়ন ডলার।
“এটা এই সময়ের মধ্যে, নির্ধারিত এই কস্টের মধ্যে এবং আমাদের মর্যাদা উন্নত রেখে আমাদের এই প্রজেক্টটা যে সম্পন্ন করতে পেরেছি তার প্রধান এবং একমাত্র কারিগর মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।”
এ কাজে প্রধানমন্ত্রীর ভূমিকা প্রসঙ্গে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, “আপনারা বাইরে থেকে তার দৃঢ়তা, সংকল্পের কথা শুনেছেন আর আমরা তা প্রত্যক্ষভাবে দেখেছি।
সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম মনে করেন, সেতুর মাধ্যমে সরকার প্রধান পুরো জাতিকে ‘একতাবদ্ধ’ করেছেন।
তিনি বলেন, “আমরাও আশা করবো মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে শিক্ষা নিয়ে দেশ ও জাতি গঠনে সর্বাত্মক প্রচেষ্টা নিব ইনশাআল্লাহ।”
পদ্মা সেতু প্রকল্পের সঙ্গে যুক্ত বাংলাদেশ সেনাবাহিনীসহ সংশ্লিষ্ট সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব।
পদ্মার বুকে ৬ কিলোমিটার দীর্ঘ সেতু বাঁধল রাজধানীর সঙ্গে দক্ষিণাঞ্চলকে। দেশের দীর্ঘতম এই সেতুতে গাড়ি ও রেল দুটোই চলবে। নিজস্ব অর্থায়নে এই সেতুর কাজ শুরু হয়েছিল ২০১৪ সালের ২৬ নভেম্বর। ৩০ হাজার ১৯৩ কোটি টাকা ব্যয়ে যা শেষ হল সাত বছরে।