শিশুটির অভিভাবক বুধবার রাতে মামলা করার পরপরই ওই শিক্ষককে গ্রেপ্তার করা হয় বলে রামপুরা থানার ওসি রফিকুল ইসলাম জানান।
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে তিনি বলেন, শিশুটি যে স্কুলে পড়ে সে স্কুলের বাংলা শিক্ষক রোকনুজ্জামান গত প্রায় দুই মাস ধরে তার ওপর যৌন নির্যাতন চালিয়ে আসছিল বলে অভিযোগ করা হয়েছে মামলায়।
শিশুটির বাবা বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “স্কুলে টিফিনের বিরতি বা ক্লাস বিরতির সুযোগে ওই শিক্ষক আমার ছেলেকে বাথরুমে বা নিরিবিলি কোনো জায়গায় নিয়ে নির্যাতন চালাত।
“গত মার্চ মাস থেকে আদরের ছলে কাছে টেনে নিত এবং মে মাসের প্রথম দিকে নির্যাতন শুরু করে। এ মাসেও কয়েকবার নির্যাতন চালিয়েছে। কাউকে বলে দিলে হত্যার হুমকিও দেওয়া হয়েছে আমার সন্তানকে।”
অপর এক পরিচিত শিক্ষকের মাধ্যমে রোকনুজ্জামানকে ছেলেটির প্রাইভেট শিক্ষক হিসেবেও চূড়ান্ত করা হয়েছিল বলে জানান ওসি রফিকুল ইসলাম।
তিনি বলেন, শিক্ষক রোকনুজ্জামান প্রথম দিন বাসায় এসে শিশুর বাবা মাকে বলেছিলেন, তিনি দরজা লাগিয়ে পড়াতে চান। এদিকে বাসায় ওেই শিক্ষককে দেখে শিশুটি অস্বাভাবিক আচরণ শুরু করে এবং তার কাছে পড়তে আপত্তি জানায়। পরে ওই দিন শিক্ষক চলে যান।
“বিষয়টি পরিবারের কাছে অন্য রকম মনে হলে তারা শিশুটিকে এক মনোচিকিৎসকের কাছে নিয়ে যান। কথা বলার এক পর্যায়ে চিকিৎসকের কাছে নির্যাতনের পুরো ঘটনা খুলে বলে শিশুটি।”
ওসি জানান, বিষয়টি তারা স্কুল কর্তৃপক্ষকে জানানোর পাশপাশি সরাসরি থানায় এসে অভিযোগ দায়ের করেন।
ওই শিক্ষককে গ্রেপ্তারের অভিযানে স্কুল কর্তৃপক্ষ সহায়তা করেছে জানিয়ে ওসি বলেন, বৃহস্পতিবার তাকে আদালতে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে।
এদিকে গ্রেপ্তারের পর শিক্ষক রোকনুজ্জামান ঘটনার দায় স্বীকার না করে উল্টো পুলিশকে প্রশ্ন ছুঁড়ে দেন বলে ওসি রফিকুল জানান।
“আমরা যখন তাকে ঘটনার বিষয়ে জানতে চাই, তখন তিনি নিজেকে দোষী বা নির্দোষ কোনোটাই না বলে ‘আমি এই কাজ কেন করব, আপনারাই বলেন’ এ ধরনের কথা বলে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করে। শুধু তাই নয়, জিজ্ঞাসাবাদের সময় হঠাৎ করেই মাথা ঘুরে বারবার অজ্ঞান হওয়ার ভান করেছেন তিনি।“