অর্থ আত্মসাৎ: গিয়াস আল মামুনসহ ২০ জনের বিরুদ্ধে মামলা

সোনালী ব্যাংকের প্রায় পৌনে ৩৩ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বন্ধু বিতর্কিত ব্যবসায়ী গিয়াস উদ্দিন আল মামুন এবং সোনালী ব্যাংকের সাবেক এক এমডিসহ ২০ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুদক।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 21 June 2022, 04:58 PM
Updated : 21 June 2022, 04:58 PM

মঙ্গলবার দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) সমন্বিত জেলা কার্যালয় ঢাকা-১ এ সংস্থার উপ পরিচালক সুভাষ চন্দ্র দত্ত এ মামলা করেন বলে জানিয়েছেন কমিশনের উপপরিচালক (জনসংযোগ) মুহাম্মদ আরিফ সাদেক।

মামলায় মামুন ছাড়াও তার স্পিনিং মিলের চেয়ারম্যানসহ পাঁচ পরিচালক এবং সোনালী ব্যাংকের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মুহম্মদ তাহমিলুর রহমানসহ সাবেক ১৪ কর্মকর্তা এবং আসামি করা হয়েছে।

দুদক সচিব মাহবুব হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, “২০০৪ সালের ৪ নভেম্বর মেসার্স ওয়ান স্পিনিং মিলস লিমিটেডের মালিকপক্ষ এবং সোনালী ব্যাংকের প্রধান কার্যালয় ও স্থানীয় কার্যালয়ের কর্মকর্তারা পরস্পর যোগসাজশে জামানত ছাড়াই ঋণপত্ৰ খুলে, ঋণপত্রের শর্ত না মেনে ‘এলটিআর’ সৃষ্টি করে ৩২ কেটি ৬৭ লাখ ৯৪ হাজার ৬১২ টাকার মেশিনারিজ আমদানি করেন। পরে ব্যাংকের টাকা পরিশোধ না করে তারা তা আত্মসাৎ করেন।”

ওয়ান স্পিনিং মিলসের এমডি গিয়াস উদ্দিন আল মামুন ছাড়া বাকি আসামিরা হলেন ওই কোম্পানির চেয়ারম্যান মো. হারুন অর রশীদ, পরিচালক নাসির উদ্দিন মিয়া, এ এইচ এম জাহাঙ্গীর ওরফে আবু হাসান মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর ও রাজিব সিরাজ এবং ওরিয়ন মাশরুম লিমিটেডের পরিচালক জি আর চৌধুরী ওরফে গোলাম রব্বানী চৌধুরী।

অপরদিকে সোনালী ব্যাংকের সাবেক কর্মকর্তাদের মধ্যে আসামি হলেন সাবেক এমডি মুহম্মদ তাহমিলুর রহমান, সাবেক জিএম মো. মিজানুর রহমান ও মো. শফিকুর রহমান, ডিজিএম মো. আমানুল্লাহ, খন্দকার মোশারফ আলী, মো. কামরুল ইসলাম ও আবু জাফর মো. সালেহ, সাবেক এজিএম মো. আলী আরশাদ, মো. আবু মুসা ও আব্দুল গফুর ভুঁইয়া, সাবেক সিনিয়র প্রিন্সিপাল অফিসার মো. আতিকুর রহমান ও এস এম এম আওলাদ হোসেন, সাবেক সহকারী প্রিন্সিপাল অফিসার মো. আব্দুর রাজ্জাক ও ওয়াহিদ উদ্দিন আহম্মদ এবং সাবেক সিনিয়র অফিসার (এফএ) মো. শাহ আলম।

তারেক রহমানের বন্ধু মামুন ২০০৭ সালের জরুরি অবস্থার সময় গ্রেপ্তার হওয়ার পর থেকে কারাগারে রয়েছেন। তার বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি, দুর্নীতি, অর্থপাচার, কর ফাঁকিসহ বিভিন্ন অভিযোগে ২০টির বেশি মামলা রয়েছে।

এর মধ্যে অর্থপাচারের এক মামলায় তারেকের সঙ্গে তাকে সাত বছরের কারাদণ্ড এবং ২০ কোটি টাকা জরিমানা করে আদালত।