ফেরারির পক্ষে আবেদন না করতে আইনজীবীদের নির্দেশ হাই কোর্টের

পলাতক আসামিদের পক্ষে কোনো আবেদন না করতে আইনজীবীদের নির্দেশ দিয়েছে হাই কোর্ট।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 5 June 2022, 10:09 AM
Updated : 5 June 2022, 10:13 AM

উচ্চ আদালতের এ নির্দেশ অমান্য করলে সংশ্লিষ্ট আইনজীবীর বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার রুল জারি করা হবে বলে রোববার সতর্ক করেছে বিচারপিত মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কাজী মো. ইজারুল হক আকন্দের বেঞ্চ।

বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের স্ত্রী জোবাইদা রহমানকে পলাতক ঘোষণা করে গত ১ জুন আপিল বিভাগের দেওয়া রায়ে বলা হয়, আত্মসমর্পণ না করা পর্যন্ত জোবাইদার পক্ষে আদালতে কোনো আবেদন করা হলে তার উপর শুনানি করা ‘আইনসম্মত হবে না’।

ওই রায়ের আলোকেই হাই কোর্ট বলছে, পলাতক আসামির পক্ষে মামলা পরিচালনা করা যাবে না।

রোববার সকালে একটি মামলায় পলাতক এক আসামির পক্ষে জামিন চাওয়া হলে আইনজীবীদের উদ্দেশে বিচারপিত নজরুল ইসলাম বলেন, “আপনাদের সবার দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলছি, যেসব আসামি মামলার প্রসিডিংসের বাইরে রয়েছেন, কিংবা পলাতক রয়েছেন, তাদের পক্ষে কেউ আবেদন করবেন না।

“এরপরও যদি কেউ পলাতকদের পক্ষে মামলা নিয়ে আসেন, তাহলে সেই আইনজীবীর বিরুদ্ধে অবমাননার রুল ইস্যু করা হবে।”

ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক এবং দুদকের আইনজীবী মো. খুরশীদ আলম খান এ সময় আদালতে  উপস্থিত ছিলেন।

ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মানিক পরে সাংবাদিকদের বলেন, “হাই কোর্ট বলছে- ‘আমরা কোনো পলাতক আসামির পক্ষে কোনো মামলা শুনব না। পলাতক আসামির পক্ষে কোনো মামলায় যদি কেউ সাবমিশন দিতে আসে, তাহলে তার বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার রুল জারি করব।’ আপিল বিভাগের ওই রায়ের কারণে আদালত এ মন্তব্য করেছেন।”

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, “আজকে তারেক রহমানের দুটি এবং জোবাইদা রহমানে একটি আবেদন শুনানির জন্য হাই কোর্টে আছে। উনারা যেহেতু পলাতক আসামি, হাই কোর্টের দৃষ্টিভঙ্গি অনুসারে ওই আবেদনের পক্ষে কারও দাঁড়ানোর সুযোগ নেই।”

জোবাইদা রহমানের বিরুদ্ধে এ মামলার কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়ার বিষয়ে হাই কোর্টের সিদ্ধান্ত বহাল রেখে গত ১৩ এপ্রিল যে রায় আপিল বিভাগ দিয়েছিল, ১ জুন প্রকাশিত তার পূর্ণাঙ্গ অনুলিপিতে সর্বোচ্চ আদালত তাকে পলাতক ঘোষণা করে।

দুদকের আইনজীবী মো. খুরশিদ আলম খান সেদিন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেছিলেন, “রায়ে বলা হয়েছে, আসামি পলাতক থাকলেও তাকে পলাতক না দেখিয়ে (হাই কোর্টে) মামলার শুনানি করাটা আইনসিদ্ধ হয়নি, বেআইনি হয়েছে।

“রায়ে বলা হয়েছে, পলাতক আসামি দুর্নীতি মামলায় হাই কোর্টে কোনো আবেদন করতে পারবেন না, জোবাইদা রহমান ২০০৮ সাল থেকেই পলাতক হিসেবে গণ্য হবেন।”