রকেট হামলায় ওই জাহাজের এক প্রকৌশলীর মৃত্যুর পর বৃহস্পতিবার ঢাকায় নিজের কার্যালয়ে সামগ্রিক পরিস্থিতি নিয়ে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন প্রতিমন্ত্রী।
তিনি বলেন, “নাজুক অবস্থার মধ্যে পড়ে গেছি। জাহাজটি বাণিজ্যিক, বন্দরের চ্যানেলে আটকা পড়েছে। জাহাজের ক্যাপ্টেনের সঙ্গে কথা হয়েছে। আমরা তাদেরকে সাহস যুগিয়েছি।
“তারা যখন আটকে পড়ে, তখনও নিরাপদে ছিল। গতকালের (বুধবার) হামলা মনে হচ্ছে এটা টার্গেট করে হামলা হয়েছে।”
ক্ষতিগ্রস্ত জাহাজে আটকে পড়াদের নিরাপত্তা নিশ্চিতের চেষ্টা চলছে জানিয়ে খালিদ মাহমুদ বলেন, “পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে যোগাযোগ চলছে। তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে কূটনৈতিক তৎপরতা চালানো হচ্ছে।”
তাদের সঙ্গে বাংলাদেশ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের যোগাযোগ রয়েছে জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, “জাহাজে খাবার মজুদ আছে। পরিস্থিতির ওপর নির্ভর করে সবকিছু। রাশিয়া ও ইউক্রেইন, আইওএম, রেডক্রসের সঙ্গেও যোগাযোগ করা হচ্ছে।”
কয়েকদিন পরেই ‘সিমেন্ট ক্লে’ নিয়ে এটির ইতালির রোভেনা বন্দরের উদ্দেশে যাত্রার কথা ছিল। কিন্তু রাশিয়া ২৪ ফেব্রুয়ারি ভোরে ইউক্রেইনে আগ্রাসন শুরু করলে পরিস্থিতি পাল্টে যায়। বন্দরেই আটকে যায় জাহাজটি।
বুধবার সন্ধ্যার দিকে জাহাজটিতে রকেট হামলা হয়। ক্রুদের চেষ্টায় আগুন নেভানো গেলেও ব্রিজে থাকা জাহাজের থার্ড ইঞ্জিনিয়ার হাদিসুর রহমানের মৃত্যু হয়। এই যুদ্ধ পরিস্থিতে জাহাজে থাকা অন্যদের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে।
নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী বলেন, “চলমান অবস্থায় আতঙ্ক থাকাটাই স্বাভাবিক। জাহাজ ত্যাগ ও ছেড়ে দেওয়া সম্ভব নয়। তবে জাহাজে নিরাপদ থাকার সম্ভাবনা বেশি।”
জাহাজে থাকা বাংলাদেশির নিরাপত্তাকেই অগ্রাধিকার দেওয়া হচ্ছে বলে জানান তিনি।
নিহত প্রকৌশলী হাদিসুরের মরদেহ আনার বিষয়ে সাংবাদিকরা দৃষ্টি আকর্ষণ করলে খালিদ মাহমুদ বলেন, “এই মুহূর্তে বলা মুশকিল, তবে সংরক্ষণ করার ব্যবস্থা করা হয়েছে। যুদ্ধ পরিস্থিতিতে নিশ্চিত করে বলা সম্ভব নয়।”
আরও খবর