শেষ হল একাদশ সংসদের ষোড়শ অধিবেশন

করোনাভাইরাসের সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতির কারণে আগেভাগেই শেষ হল একাদশ সংসদের ষোড়শ অধিবেশন।

বৃহস্পতিবার রাতে অধিবেশন সমাপ্তি সম্পর্কে রাষ্ট্রপতির আদেশ পড়ে শোনানোর মাধ্যমে সংসদের বৈঠকের ইতি টানেন স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী।

তার আগে পাকিস্তানের কারাগার থেকে মুক্ত হয়ে দেশে ফেরার আগমুহূর্তে ভারতে একটি জনসভায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাষণ সংসদ কক্ষে দেখানো হয়।

পাঁচ কার্যদিবসের এই অধিবেশন শুরু হয় গত ১৬ জানুয়ারি। সংবিধানের নিয়ম অনুযায়ী বছরের প্রথম অধিবেশনের প্রথম দিন সংসদে ভাষণ দেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ।

পরে তার ভাষণের জন্য ধন্যবাদ জানাতে প্রস্তাব তোলেন প্রধান হুইপ নূর-ই-আলম চৌধুরী। এই প্রস্তাবের ওপর আলোচনা শেষে বৃহস্পতিবার রাতে তা সর্বসম্মতিক্রমে গ্রহণ করা হয়।

প্রথমে পরিকল্পনা ছিল কয়েক দফা বিরতি দিয়ে মধ্য ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত এই অধিবেশন চলবে। তবে দ্রুত ছড়িয়ে পড়া করোনাভাইরাসের নতুন ধরন ওমিক্রনের দাপটের কারণে সেই পরিকল্পনায় পরিবর্তন আনা হয়।

গত কয়েক দিনে প্রায় ৪০ জনের মতো সংসদ সদস্য এবং সংসদ সচিবালয়ের দুই শতাধিক কর্মকর্তা-কর্মচারী করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন।

রাষ্ট্রপতির ভাষণ ছাড়া এই অধিবেশনে পাস হয়েছে বহুল আলোচিত নির্বাচন কমিশন গঠন সংক্রান্ত আইন। সংসদের ভেতরে ও বাইরে এই আইনটি নিয়ে ছিল নানামুখী আলোচনা। প্রায় তিন ঘণ্টা আলোচনা শেষে বৃহস্পতিবার দুপুরে সংসদে ওই আইনটিতে সায় দেয় দেশের আইনসভা।

অধিবেশনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ৫৫ সংসদ সদস্য রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর ৯ ঘণ্টা ৩০ মিনিট আলোচনা করেন।

এই অধিব্শেনে প্রধানমন্ত্রীর কাছে ৫২টি প্রশ্ন করেন আইনপ্রণেতারা। যার মধ্যে ২০টির জবাব দিয়েছেন তিনি। অন্য মন্ত্রীদের জন্য প্রশ্ন জমা পড়ে এক হাজার ৪৭৬টি। মন্ত্রীরা উত্তর দিয়েছেন ২৯০টির।

সাধারণত বছরের প্রথম অধিবেশনে রাষ্ট্রপতির ভাষণের উপর আনা ধন্যবাদ প্রস্তাবের ওপর আলোচনা এবং বাজেট অধিবেশনে বাজেটের উপর সাধারণ আলোচনার কারণেই এ দুটি অধিবেশন দীর্ঘ হয়ে থাকে।

তবে বৈশ্বিক মহামারী কোভিড-১৯ এর কারণে গত দুই বছর ধরে এ দুটি অধিবেশনও সংক্ষিপ্ত হচ্ছে।