নাঈমের মৃত্যু: বরখাস্ত পরিচ্ছন্নতাকর্মী হারুন রিমান্ডে

নটর ডেম কলেজের শিক্ষার্থী নাঈম হাসানকে গাড়ি চাপা দিয়ে মৃত্যুর মামলায় ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের বরখাস্ত পরিচ্ছন্নতাকর্মী হারুন মিয়াকে দুই দিনের হেফাজতে পেয়েছে পুলিশ।

আদালত প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 27 Nov 2021, 01:09 PM
Updated : 27 Nov 2021, 01:09 PM

হারুন মিয়া

শনিবার ঢাকার মহানগর হাকিম মইনুল ইসলাম রিমান্ডের এই আদেশ দেন বলে জানিয়েছেন ওই আদালতে পুলিশের সাধারণ নিবন্ধন শাখার কর্মকর্তা এসআই মো. মোতালেব হোসেন।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পল্টন থানার এসআই  আনিছুর রহমান সড়ক দুর্ঘটনা আইনে করা মামলায় হারুনকে আদালতে হাজির করে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সাত দিনের হেফাজতে নেওয়ার আবেদন করেন।

এসময় আসামি পক্ষের আইনজীবী রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিন আবেদন করলে রাষ্ট্রপক্ষ তার বিরোধিতা করে। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে আদালত হারুন মিয়ার দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে।

শুক্রবার রাজধানীর যাত্রাবাড়ি এলাকা থেকে হারুন মিয়াকে গ্রেপ্তার করে র‌্যাব। তার গ্রামের বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুরের ফরদাবাদে।

বুধবার সকাল ১১টার দিকে গুলিস্তান বঙ্গবন্ধু স্কয়ারের দক্ষিণ পাশে সিটি করপোরেশনের একটি ময়লার ট্রাকের ধাক্কায় প্রাণ হারান নটরডেম কলেজের মানবিক বিভাগের শিক্ষার্থী নাঈম হাসান।

এ ঘটনায় তার বাবা শাহ আলম দেওয়ান পল্টন থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।

নাঈমকে চাপা দেওয়ার ঘটনায় ময়লার ট্রাকে চালকের আসনে থাকা রাসেল মিয়াকে আটকের পর রিমান্ডে পেয়েছে পুলিশ। পরদিন পরিচ্ছন্নতাকর্মী হারুন মিয়াকে বরখাস্ত করে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন।

র‍্যাব জানায়, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে হারুন ২০২০ সাল থেকে মালবাহী গাড়িটি নিয়মিত চালিয়ে আসছিল বলে জানিয়েছে। বুধবার তার সহকারী রাসেল গাড়িটি চালায়। তাদের দুজনের কারোই ড্রাইভিং লাইসেন্স নেই।

নাঈমের মৃত্যুর ঘটনায় শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভের মধ্যে গাড়িটির মূল চালক ইরান মিয়াকেও সাময়িক বরখাস্ত করে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন। কর্মচ্যুত করা হয় আরেক পরিচ্ছন্নতাকর্মী আব্দুর রাজ্জাককে।

আদেশে বলা হয়, “গাড়িটি পরিবহন বিভাগের গাড়িচালক (ভারী) ইরান মিয়ার অনুকূলে বরাদ্দ দেওয়া হলেও তিনি অবৈধভাবে হারুন মিয়াকে মৌখিকভাবে চালানোর দায়িত্ব দেন।

“দুর্ঘটনার দিন হারুন, রাসেল মিয়া নামের আরেক ব্যক্তিকে গাড়ি চালনার জন্য অবৈধভাবে দায়িত্ব দেন। ইরানের এ ধরনের দায়িত্বহীনতার কারণে দুর্ঘটনা ঘটে।”

নাঈম হাসানের মৃত্যুর ঘটনায় দোষীদের বিচার এবং নিরাপদ সড়কের দাবিতে টানা তিন দিন ধরে ঢাকার গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন সড়ক অবরোধ করে দোষীদের বিচার দাবি করে আসছে  বিভিন্ন স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা। 

রোববার আবারও সড়কে ফিরে আসার ঘোষণা দিয়ে নয় দফা দাবিতে শনিবার আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা তাদের দাবি পূরণে মঙ্গলবার পর্যন্ত সময় বেঁধে দিয়েছে।