রাজধানীর যাত্রাবাড়ী থেকে শুক্রবার সকালে তাকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে র্যার-৩ এর অপারেশন অফিসার ফারজানা হক জানান।
তার গ্রামের বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুরের ফরদাবাদে।
পরে র্যাবে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে হারুন ২০২০ সাল থেকে মালবাহী গাড়িটি নিয়মিত চালিয়ে আসছিল বলে জানিয়েছে। বুধবার তার সহকারী রাসেল গাড়িটি চালায়। যদিও তাদের দুজনেরই ড্রাইভিং লাইসেন্স নেই।
বুধবার গুলিস্তানে নাঈমকে চাপা দেওয়ার পর ময়লার চালকের আসনে থাকা রাসেল মিয়াকে আটক করা হয়। এই ঘটনায় করা মামলায় তাকে বৃহস্পতিবার আদালতের মাধ্যমে রিমান্ডেও পেয়েছে পুলিশ।
আর রাসেল সিটি করপোরেশনের কোনো পর্যাযয়ের কর্মী নয় বলে সংস্থার কর্মকর্তারা এখন দাবি করছে।
নাঈমের মৃত্যুর ঘটনায় শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভের মধ্যে বৃহস্পতিবার ডিএসসিসির এক দাপ্তরিক আদেশে হারুন মিয়ার পাশাপাশি গাড়িটির মূল চালক ইরান মিয়াকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। কর্মচ্যুত করা হয় আরেক পরিচ্ছন্নতাকর্মী আব্দুর রাজ্জাককে।
দুর্ঘটনার পর পুলিশ বলেছিল, হারুন এই গাড়ির চালক, আর রাসেল পরিচ্ছন্নতাকর্মী। হারুন বদলি দায়িত্ব দিয়েছিলেন রাসেলকে।
পরে সিটি করপোরেশন বরখাস্তের আদেশ দিলে তাতে ইরান মিয়াকে গাড়ির চালক হিসেবে জানা যায়।
আদেশে বলা হয়, “গাড়িটি পরিবহন বিভাগের গাড়িচালক (ভারী) ইরান মিয়ার অনুকূলে বরাদ্দ দেওয়া হলেও তিনি অবৈধভাবে হারুন মিয়াকে মৌখিকভাবে চালানোর দায়িত্ব দেন। দুর্ঘটনার দিন হারুন, রাসেল মিয়া নামের আরেক ব্যক্তিকে গাড়ি চালনার জন্য অবৈধভাবে দায়িত্ব দেন। ইরানের এ ধরনের দায়িত্বহীনতার কারণে দুর্ঘটনা ঘটে। দায়িত্ব পালনে অবহেলা, অসদাচরণ ও পলায়নের অভিযোগে ইরানের বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা করাসহ তাকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হল।”