বুধবার তদন্ত প্রতিবেদন জমা না পড়ায় ঢাকা মহানগর হাকিম দেবদাস চন্দ্র অধিকারী আগামী ২৬ ডিসেম্বর নতুন তারিখ দিয়েছেন। এ নিয়ে তদন্ত প্রতিবেদন আদালতে জমা দেওয়ার তারিখ পেছানো হলো ৮৪ বার।
২০১২ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি রাতে ঢাকার পশ্চিম রাজাবাজারের ভাড়া বাসায় খুন হন মাছরাঙা টেলিভিশনের বার্তা সম্পাদক সাগর সরওয়ার এবং এটিএন বাংলার জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক মেহেরুন নাহার রুনি। দুজনকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করা হয়। ওই রাতে তারা ছাড়া ঘরে ছিল তাদের একমাত্র শিশুসন্তান।
দেশজুড়ে আলোচিত এই হত্যাকাণ্ডের পর সে সময়ের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাহারা খাতুন ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে খুনিদের গ্রেপ্তারের নির্দেশ দিয়েছিলেন। তবে তারপর সাড়ে নয় বছর পার হলেও মামলার তদন্তই শেষ করতে পারেনি পুলিশ-র্যাব।
হত্যাকাণ্ডের পর রুনির ভাই মো. নওশের আলম রোমানের করা মামলাটি প্রথমে তদন্ত করেন শেরেবাংলা নগর থানার এসআই জহুরুল ইসলাম। তার কাছ থেকে তদন্তের দায়িত্ব গিয়েছিল গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক রবিউল আলমের কাছে।
৬২ দিন পর ডিবি আদালতের কাছে ব্যর্থতা স্বীকার করলে ২০১২ সালের এপ্রিলে তদন্তের দায়িত্বে আসে র্যাব। র্যাবেরও বেশ কয়েকজন কর্মকর্তা তদন্তভার পেলেও এখনও তা শেষ করতে পারেনি।
এই মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে এখন কারাগারে আছেন ওই বাড়ির নিরাপত্তা রক্ষী এনাম আহমেদ ওরফে হুমায়ুন কবির, রফিকুল ইসলাম, বকুল মিয়া, মিন্টু ওরফে বারগিরা মিন্টু ওরফে মাসুম মিন্টু, কামরুল হাসান অরুণ ও আবু সাঈদ।
রুনির কথিত বন্ধু তানভীর রহমানকে ২০১২ সালের ১ অক্টোবর গ্রেপ্তারের পর দুই বছর কারাগারে থাকার পর ২০১৪ সালের ২ সেপ্টেম্বর জামিন পান। যে বাড়িটিতে সাগর-রুনি খুন হন সেই বাড়ির দারোয়ান পলাশ রুদ্র পালও জামিনে বাইরে রয়েছেন।