সারাদেশে লঞ্চ চলাচল বন্ধের মধ্যে রোববার বিকাল সাড়ে ৩টায় ঢাকার মতিঝিলে বিআইডব্লিউটিএ কার্যালয়ে এই বৈঠক শুরু হয়।
বিআইডব্লিউটিএর চেয়ারম্যান কমডোর গোলাম সাদেক বৈঠকের শুরুতেই বলেন, “তেলের দাম বাড়ার প্রেক্ষাপটে লঞ্চের ভাড়া যদি সমন্বয় করতে হয়, তবে সেটা কীভাবে করব, সেই জন্য আজকে বসেছি।
“কমিটির একটা প্রস্তাবনা রয়েছে, তারা চিঠিপত্র দিয়েছিলেন। সেটা বিবেচনা করে একটা সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য আজকে আমরা সমবেত হয়েছি।”
সরকার ডিজেলের দাম ২৩ শতাংশ বাড়ালে ভাড়া বাড়ানোর দাবিতে শুক্রবার থেকে সড়কে ধর্মঘট শুরু করে বাস ও ট্রাক মালিক-শ্রমিকরা। শনিবার লঞ্চ মালিকরাও যোগ দেয় এই ধর্মঘটে।
লঞ্চ মালিকরা ভাড়া দ্বিগুণ করার একটি প্রস্তাব দিয়েছেন। ১০০ কিলোমিটার পর্যন্ত লঞ্চ ভাড়া প্রতি কিলোমিটারে ১ টাকা ৭০ পয়সার পরিবর্তে ৩ টাকা ৪০ পয়সা এবং ১০০ কিলোমিটারের বেশি দূরত্বে প্রতি কিলোমিটারে ১ টাকা ৪০ পয়সা থেকে বাড়িয়ে ২ টাকা ৮০ পয়সা নির্ধারণের দাবি জানানো হয় তাতে।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ চলাচল সংস্থার সভাপতি মাহবুব উদ্দিন আহমদ বলেন, “২০১৩ সালের পর আর ভাড়া বাড়েনি।
“আমরা ভাড়া বাড়ানোর একটা প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছিলাম। যখন একটি মিটিং হবে হবে এমন সম্ভাবনা হয়েছে, তখন তেলের দাম বেড়েছে। তেলের মূল্যটা অনেক বেশি বৃদ্ধি হওয়াতে মালিকদের পক্ষে জাহাজ পরিচালনা করা দুরূহ হয়ে পড়েছে।”
“আমরা চেয়ারম্যান সাহেবকে অনুরোধ করেছিলাম, আমাদের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করে একটা সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য। তিনি আজকে আমাদের সঙ্গে বসেছেন,” বলেন তিনি।
বিআইডব্লিউটিএর চেয়ারম্যানের সভাপতিত্বে বৈঠকে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ চলাচল সংস্থার জ্যেষ্ঠ ভাইস-প্রেসিডেন্ট বদিউজ্জামান বাদল, বাংলাদেশ লঞ্চ মালিক সমিতির মহাসচিব শহিদুল ইসলাম ভূঁইয়া, নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের উপসচিব আমিনুর রহমান, বিআইডব্লিউটিএর কর্মকর্তা এবং লঞ্চ মালিকরা উপস্থিত রয়েছেন।