কিউকমের ‘প্রতারণা’, আরজে নীরব গ্রেপ্তার

প্রতারণার অভিযোগে আলোচিত ই-কমার্স কোম্পানি কিউকমের বিপণন বিভাগের প্রধান হুয়ামুন কবির নীরবকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে, যিনি আরজে নীরব হিসেবেই পরিচিত।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকও আদালত প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 8 Oct 2021, 12:56 PM
Updated : 8 Oct 2021, 07:07 PM

শুক্রবার ভোরে ঢাকার আদাবর এলাকার বাসা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে শিল্পাঞ্চল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) শের আলম জানান।

তিনি বলেন, প্রায় ৫৬ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে গত বৃহস্পতিবার এক গ্রাহকের দায়ের করা মামলায় নীরবকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

শুক্রবার আদালতে পাঠিয়ে রিমান্ড চাওয়া হলে ঢাকার মহানগর হাকিম বেগম মাহমুদা আক্তার তাকে এক দিনের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি দেন।

ওই মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, এক গ্রাহক পণ্য কেনার জন্য ৫৬ লাখ টাকা কিউকমকে দিয়েছেন। কিন্তু নির্ধারিত সময়ে তিনি পণ্যও পাননি, পরে কিউকমের অফিসে যোগাযোগ করলে তাকে টাকাও ফেরত দেওয়া হয়নি।

কিউকমের ব্যবস্থাপনা পরিচালকসহ ছয় জনের বিরুদ্ধে দায়ের করা ওই মামলায় নীরবের নাম রয়েছে ৪ নম্বরে।

পুলিশ বলছে, রেডিও জকি হিসেবে পরিচিত পাওয়া আরজে নীরব ছিলেন কিউকমের হেড অব সেলস (কমিউনিকেশনস অ্যান্ড পাবলিক রিলেশনস)। বিভিন্ন মাধ্যমে কিউকমের প্রচার চালিয়ে সাধারণ মানুষকে তিনি আকৃষ্ট করতেন। তার কথায় আকৃষ্ট হয়ে কিউকমে টাকা ঢেলে অনেকে এখন প্রতারিত হওয়ার অভিযোগ করছেন।

শুক্রবার নীরবকে আদালতে হাজির করে পাঁচ দিনের রিমান্ডের আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশের উপ-পরিদর্শক রুহুল আমিন। আসামি পক্ষে দুই জন আইনজীবী রিমান্ডের বিরোধিতা এবং জামিন চেয়ে শুনানি করেন।

শুনানি শেষে বিচারক জামিন আবেদন নাকচ করে এক দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে আদেশ দেন।

এর আগে পল্টন থানায় আরেক গ্রাহকের করা প্রতারণার মামলায় কিউকমের সিইও রিপন মিয়াকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

দেশে ই কমার্সের ব্যবসা বেশ কয়েক বছর ধরেই বাড়ছিল, এর মধ্যে মহামারী শুরু হলে নতুন নতুন বেশ কিছু কোম্পানি রাতারাতি ফুলে ফেঁপে উঠতে শুরু করে, এর মধ্যে কিউকম একটি।

বাজারমূল্যের চেয়ে অনেক কম দামে পণ্য বিক্রির প্রলোভন দেখিয়ে এসব কোম্পানি লাখ লাখ গ্রাহকের হাজার হাজার কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে বলে অভিযোগ উঠছে এখন।

অনেকে কম দামে পণ্য কিনে পরে বেশি দামে বিক্রির আশায় এসব কোম্পানিতে লাখ লাখ টাকার অর্ডার করেছেন। কিন্তু তাদের অনেকে মাসের পর মাস অপেক্ষা করেও পণ্য বুঝে পাননি, কোম্পানি তাদের টাকাও ফেরত দিচ্ছে না।

এসব ঘটনায় ইভ্যালি, ই অরেঞ্জসহ বিভিন্ন ই-কমার্স কোম্পানির বিরুদ্ধে বেশ কিছু মামলা হয়েছে। এসব কোম্পানির উদ্যোক্তদের অনেকেই ইতোমধ্যে হয় দেশ ছেড়েছেন, না হয় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হাতে গ্রেপ্তার বা নজরদারিতে আছেন।