কোভ্যাক্সের ২৬ ফ্রিজারে টিকা সংরক্ষণ করা যাবে ৯০ লাখ ডোজ: ইউনিসেফ

কোভ্যাক্সের আওতায় ইউনিসেফ ২৬টি অতি শীতল ফ্রিজার দেওয়ায় ফাইজারের তৈরি করোনাভাইরাসের টিকা সংরক্ষণের সক্ষমতা বেড়েছে বাংলাদেশের।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 28 Sept 2021, 10:17 AM
Updated : 28 Sept 2021, 01:27 PM

মঙ্গলবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিশ্ব সংস্থাটি বলেছে, কোভ্যাক্সের আওতায় অগাস্টে দেওয়া এসব ফ্রিজারের প্রতিটিতে তিন লাখের বেশি ডোজ টিকা সংরক্ষণ করা যায়। কোভিড-১৯ টিকা অতি নিম্ন তাপমাত্রায় সংরক্ষণ করতে হয় বলে এখন বাংলাদেশের পক্ষে এসব টিকা গ্রহণ, সংরক্ষণ বিতরণ সহজ হবে।

“এতে করে প্রশাসনের পক্ষে ঢাকার বাইরের জেলাগুলোতেও এই টিকা দেওয়া সম্ভব হবে। এই অতিরিক্ত ধারণক্ষমতার ফ্রিজারের জন্য মঙ্গলবার ২৫ লাখ ডোজ ফাইজারের টিকার কোভ্যাক্স চালান আসা সম্ভব হয়েছে।”

বাংলাদেশে ইউনিসেফের প্রতিনিধি টোমো হোযুমি বলেন, টিকা পাওয়ার সমঅধিকার নিশ্চিত করতে কোভ্যাক্সের মাধ্যমে আরও দেশ যেহেতু এগিয়ে আসছে, সেহেতু টিকা গ্রহণকারী দেশগুলোর জন্য ‘আলট্রা কোল্ড-চেইন’ ধারণক্ষমতা বাড়ানো অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

“এই মহামারী শেষ না হওয়া পর্যন্ত কোভ্যাক্সের বাস্তবায়নকারী সহযোগী হিসেবে ইউনিসেফ বাংলাদেশকে সহযোগিতা করে যাবে। সবাই নিরাপদ না হলে আমরা কেউই নিরাপদ নই।”

কোভ্যাক্সের আওতায় ৪৫টিরও বেশি দেশে ৩৫০টি অতি নিম্ন তাপমাত্রার ফ্রিজার পৌঁছে দেওয়ার ইউনিসেফের বৈশ্বিক লক্ষ্যমাত্রার অংশ হিসেবে বাংলাদেশে ২৬টি ফ্রিজার সরবরাহ করা হয়েছে। দ্রুত সময়ে টিকা পাওয়া মানুষের সংখ্যা বাড়াতে ‘আলট্রা কোল্ড-চেইন’ ধারণক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য এটি অভূতপূর্ব উদ্যোগ।

ইউনিসেফের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, মঙ্গলবার পর্যন্ত বাংলাদেশে মোট জনসংখ্যার মাত্র নয় শতাংশ মানুষ দুই ডোজ টিকা পেয়েছে। বিশেষ করে নিম্ন ও মধ্যম আয়ের দেশে টিকার প্রাপ্যতা ও বিতরণের সমঅধিকার নিশ্চিত করাই কোভ্যাক্স-এর লক্ষ্য।

কোভ্যাক্সের মাধ্যমে অনুদান হিসেবে প্রতিশ্রুত যুক্তরাষ্ট্র থেকে ৬০ লাখ ফাইজার টিকার অংশ হিসেবে মঙ্গলবার ২৫ লাখ ডোজ টিকার চালানটি এসেছে।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) বাংলাদেশের প্রতিনিধি ড. বারদান জং রানা বলেন, বাংলাদেশ সরকারের প্রতি সহযোগিতা বাড়ানোর জন্য বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা কোভ্যাক্সের প্রশংসা করছে। এই ফ্রিজারগুলো দেশের ‘আলট্রা কোল্ড চেইনকে’ শক্তিশালী করতে ভূমিকা রাখবে।

“সকলের স্বাস্থ্য নিশ্চিত করার জন্য সর্বত্র সবার কাছে টিকা পৌঁছে দেওয়া এখন জরুরি। কাউকে পেছনে ফেলে যাবার সুযোগ আমাদের নেই।”

বিভিন্ন দাতার প্রতিশ্রুতি ও সরাসরি অনুদানের মাধ্যমে কোভ্যাক্স বাংলাদেশসহ নিম্ন ও মধ্যম আয়ের দেশগুলোতে কোভিড-১৯ টিকা ও অন্যান্য সুরক্ষাসামগ্রী সরবরাহ করে যাচ্ছে।

টিকা নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে ইতিমধ্যে এগিয়ে আছে এমন বিভিন্ন দাতা সংস্থা ও দেশগুলো যাতে কোভ্যাক্সকে সহায়তা অব্যাহত রাখে সেই আহ্বান জানিয়েছে ইউনিসেফ ও ডব্লিউএইচও।