ডায়মন্ড তার প্রেমিকাকে আত্মহত্যায় প্ররোচিত করার প্রতিশোধ নিতে ইবরাহিমকে খুন করেছিল বলে সিআইডি জানায়।
বুধবার এক সংবাদ সম্মেলনে সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার মুক্তা ধর জানান, আল আমীন হত্যার পেছনে ডায়মন্ড জড়িত বলে নিশ্চিত হওয়ার পর মঙ্গলবার রাতে দিনাজপুর থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
ফেনী পৌরসভা এলাকায় গত ৩ সেপ্টেম্বর আল আমিন (২৫) খুন হন।
নওগাঁর মান্দা উপজেলার আল আমিন ফেনীতে গিয়ে ফেরি করে নানা ধরনের জিনিস বিক্রি করতেন। সেখানে ডায়মন্ডও একই কাজ করতেন।
পুলিশ সুপার মুক্তা জানান, ডায়মন্ডের সঙ্গে এক তরুণীর প্রেমের সম্পর্ক ছিল। নওগাঁয় বসবাসরত ওই তরুণীর সঙ্গে নিয়মিত ফোনে কথা হত ডায়মন্ডের। গত ১৬ জুন ওই তরুণী আত্মহত্যা করলে ডায়মন্ড ভেঙে পড়েন।
এসপি মুক্তা বলেন, “পরে নেশাগ্রস্ত অবস্থায় এক সময় আল আমীন জানায় সে ডায়মন্ডের ফোন ব্যবহার করে ওই তরুণীকে ফোন করে বলেছিল যে ডায়মন্ড তাকে ভালোবাসে না। এরপরই ওই তরুণী আত্মহত্যা করে।
“এরপরেই আল আমিনকে হত্যার পরিকল্পনা করে ডায়মন্ড। সেই পরিকল্পনা অনুযায়ী গভীর রাতে গলায় চাকু ঢুকিয়ে তাকে হত্যা করে।”
ডাকাত গ্রেপ্তার
একই সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপারমুক্তা ধর জানান, ঢাকার আশুলিয়ায় ১৯টি স্বর্ণের দোকান এবং রাজধানীর রাপা প্লাজায় স্বর্ণের দোকানে ডাকাতি ঘটনার সঙ্গে জড়িত আটজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
তারা হলেন- শাহানা আকতার (২৪), আনোয়ার হাওলাদার (৩৯), দেলোয়ার হোসেন খলিফা (৩৬), আব্দুর রহিম (৫৫), আল মিরাজ রেফে মিন্টু (৩৮), কামাল খাঁ (৩৯), মো. সাগর (৪০), সবুজ রায় (৩২)।
সবুজ রায় এবং রহিম রাপা প্লাজার ডাকাতিতে এবং বাকিদের মধ্যে কয়েকজন আশুলিয়া স্বর্ণের দোকানে ডাকাতির কথা স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছে বলে সিআইডি জানায়।
সংবাদ সম্মেলনে সিআইডির অতিরিক্ত বিশেষ পুলিশ সুপার আজাদ রহমান এবং খায়রুল আমিন উপস্থিত ছিলেন।