অবৈধ সম্পদ: স্বাস্থ্যের গাড়িচালক মালেক দম্পতির বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র অনুমোদন দুদকের

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের আলোচিত গাড়িচালক আব্দুল মালেক দম্পতির বিরুদ্ধে সাড়ে তিন কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের দুই মামলায় অভিযোগপত্র অনুমোদন করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন- দুদক।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 21 Sept 2021, 02:23 PM
Updated : 21 Sept 2021, 02:23 PM

মঙ্গলবার কমিশনের প্রধান কার্যালয় থেকে এ অভিযোগপত্র অনুমোদন দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন দুদকের (জনসংযোগ) উপপরিচালক মুহাম্মদ আরিফ সাদেক।

তিনি বলেন, "শিগগির এই অভিযোগপত্র আদালতে দাখিল করা হবে।"

গত ১৫ ফেব্রুয়ারি মালেক ও তার স্ত্রী নার্গিস বেগমের বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে পৃথক দুটি মামলা করে দুদক।

এক মামলায় শুধু মালেককে আসামি করা হয় এবং আরেকটিতে তার সঙ্গে তার স্ত্রীকেও আসামি করা হয়।

মালেকের বিরুদ্ধে মামলার তদন্ত প্রতিবেদন বলা হয়, মালেক এক কোটি ৫০ লাখ ৩১ হাজার ৮১০ টাকার জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জন করেছেন। এছাড়া ৯৩ লাখ ৫৩ হাজার ৬৪৮ টাকার সম্পদের তথ্য গোপন করেছেন।

অপর মামলায় নার্গিস বেগমের দুই কোটি ১২ লাখ ৩৫ হাজার ৪৩১ টাকার সম্পদ রয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়। এর মধ্যে বৈধ উৎস পাওয়া যায় এক কোটি এক লাখ ৪৩ হাজার ৩৮২ টাকা। বাকি এক কোটি ১০ লাখ ৯২ হাজার ৫০০ টাকার সম্পদ অবৈধ উপায়ে অর্জিত হয়েছে বলে প্রতিবেদনে বলা হয়।

গত বছরের ২০ সেপ্টেম্বর রাজধানীর তুরাগ এলাকা থেকে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের গাড়িচালক আব্দুল মালেককে আটক করে র‌্যাব। ওইদিনই তার বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনে মামলা হয়।

সোমবার এই মামলার দুই ধারায় মালেককে ১৫ বছর করে ৩০ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত। তবে দুই ধারার সাজা একত্রে চলবে বলে তাকে ১৫ বছরই কারাগারে কাটাতে হবে।

এ গাড়িচালককে গ্রেপ্তারের পর তার অঢেল অর্থ বিত্তের তথ্য নিয়ে ব্যাপক আলোচনা হয়।

ওই সময় র‌্যাব কর্মকর্তারা জানিয়েছিলেন, তুরাগের দক্ষিণ কামারপাড়ায় ২টি সাততলা ভবন, একই এলাকায় একটি বিশাল ডেইরি ফার্ম, ধানমন্ডির হাতিরপুলে সাড়ে ৪ কাঠা জমিতে একটি নির্মাণাধীন ১০তলা ভবন ছাড়াও কলাবাগানসহ রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে অন্তত ১৫টি ফ্ল্যাট রয়েছে মালেকের। এছাড়া বিভিন্ন ব্যাংকে বিপুল পরিমাণ অর্থও জমা আছে।

মালেককে গ্রেপ্তারের পরদিন দুদক জানায়, আগে থেকেই স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ‘সীমাহীন দুর্নীতি ও অনিয়মের’ সঙ্গে জড়িত অর্ধশতাধিক কর্মকর্তা-কর্মচারীর বিরুদ্ধে অনুসন্ধান করছে দুদক। তাদের মধ্যে গাড়িচালক মালেকও রয়েছেন।