সোমবার কমিশনের সমন্বিত জেলা কার্যালয় ঢাকা-১ এ দুদকের সহকারী পরিচালক সৈয়দ নজরুল ইসলাম মামলা দুটি করেন বলে সংস্থাটি পরিচালক (জনসংযোগ) প্রনব কুমার ভট্টাচার্য্য জানিয়েছেন।
তিনি জানান, এক মামলায় আব্দুল মালেকের বিরুদ্ধে এক কোটি ৫০ লাখ ৩১ হাজার ৮১০ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জন ও ৯৩ লাখ ৫৩ হাজার ৬৪৮ টাকার সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগ আনা হয়েছে।
দুদকের অনুসন্ধানে আব্দুল মালেকের মোট দুই কোটি ৯৯ হাজার টাকার সম্পদের তথ্য পাওয়া যায় বলে এ মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে।
অন্যদিকে মালেকের স্ত্রী নার্গিস বেগমের ১ কোটি ১০ লাখ ৯২ হাজার ৫০ টাকার অবৈধ সম্পদ থাকার প্রমাণ পাওয়া গেছে উল্লেখ করে প্রণব বলেন, “উক্ত অভিযোগে আব্দুল মালেক ও নার্গিসের বিরুদ্ধে আরেকটি মামলা হয়েছে। এই সম্পদ আব্দুল মালেক কর্তৃক অবৈধ অর্থে অর্জিত সম্পদ স্ত্রী নার্গিস ভোগদখলে রেখেছেন।”
অবৈধ সম্পদসহ নার্গিস বেগমের নামে মোট দুই কোটি ১২ লাখ ৩৫ হাজার টাকার সম্পদের তথ্য প্রমাণ পাওয়ার কথা বলা হয়েছে এ মামলায়।
অবৈধ অস্ত্র, জাল নোট ব্যবসা ও চাঁদাবাজিসহ বিভিন্ন সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে গত বছরের ২০ সেপ্টেম্বর ভোরে রাজধানীর তুরাগ এলাকা থেকে গাড়িচালক মালেককে গ্রেপ্তার করে র্যাব।
এ সময় তার কাছ থেকে একটি বিদেশি পিস্তল, একটি ম্যাগাজিন, পাঁচ রাউন্ড গুলি, দেড় লাখ বাংলাদেশি টাকার জাল নোট, একটি ল্যাপটপ ও মোবাইল ফোন উদ্ধারের কথাও তখন জানানো হয়।
সে ঘটনায় র্যাব-১ এর পরিদর্শক (শহর ও যান) আলমগীর হোসেন বাদী হয়ে দুটি মামলা করেন। এরপর তাকে ১৪ দিন হেফাজতে রেখে জিজ্ঞাসাবাদও করে পুলিশ। এরপর থেকে তিনি কারাগারে রয়েছেন।
মালেককে গ্রেপ্তারের পরদিন দুদক জানায়, আগে থেকেই স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সীমাহীন দুর্নীতি ও অনিয়ম সাড়ে জড়িত অর্ধশতাধিক কর্মকর্তা-কর্মচারীর বিরুদ্ধে অনুসন্ধান করছে দুদক। তাদের মধ্যে গাড়িচালক মালেকও রয়েছেন।
এরপর অনুসন্ধানের অংশ হিসেবে গত ১৮ জানুয়ারি গাড়িচালক আব্দুল মালেককে কারাফটকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন অনুসন্ধান কর্মকর্তা সৈয়দ নজরুল।