গ্রেপ্তাররা হলেন- রাজধানীর ভাটারা এলাকায় মাদানী এভিনিউয়ের ‘আস্থা গেটওয়ে লিমিটেড’ নামে কথিত একটি কোম্পানির চেয়ারম্যান আল আমিন এবং ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) হারুনর রশীদ বাদল।
বৃহস্পতিবার সিআইডি কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে ঢাকা রেঞ্জের অতিরিক্ত উপমহাপরিদর্শক ইমাম হোসেন জানান, বুধবার তাদের গ্রেপ্তারের সময় ওই চক্রের আরও তিনজন পালিয়ে গেছেন।
“প্রতারক চক্রটি আস্থা গেটওয়ে লিমিটেড নামে ভুঁইফোড় এক কোম্পানি খুলে ভুয়া নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দিত। সেখানে সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন পদে নিয়োগের প্রলোভন দেখিয়ে চাকরি প্রার্থীদের জাল নিয়োগপত্র দেওয়া হত।
“এই নিয়োগপত্র দিয়ে তাদের কাছ থেকে কোটি কোটি টাকা প্রতারণামূলকভাবে আত্মসাৎ করে আসছে এই চক্র। গ্রেপ্তারের পর জিজ্ঞাসাবাদে চাকরিতে নিয়োগের কোনো বৈধ কাগজপত্র তারা দেখাতে পারেনি।”
“সাধারণ মানুষের আস্থা অর্জনে নিয়োগপত্রে স্থানীয় সংসদ সদস্যের স্বাক্ষর নকল করত প্রতারক চক্রটি। ভুক্তভোগীরা এই নিয়োগপত্র নিয়ে যখন নিয়োগস্থলে যোগাযোগ করতেন, তখন জানতে পারতেন এটা ভুয়া।
“এরকম ৫০ জনের বেশি ভুক্তভোগী আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন। শিক্ষিত যুবক-যুবতীরা অভাবের তাড়নায় এবং বেকারত্বের কারণে এদের কাছে গিয়ে প্রতারিত হয়।”
গ্রেপ্তারের সময় তাদের কাছ থেকে ‘ইমেক্স ম্যানপাওয়ার রিক্রুইটিং এজেন্সি বাংলাদেশ লিমিটেডের’ ২৪টি ভুয়া নিয়োগপত্র, চাকরি প্রার্থীদের আবেদন ফরম, নিবন্ধন ফরম, জীবন বৃত্তান্তসহ বিভিন্ন মালামাল জব্দ করা হয়।
গ্রেপ্তার দুইজন ও পলাতক তিনজনসহ মোট ৫ জনের বিরুদ্ধে ভাটারা থানায় মামলা করা হয়েছে বলে জানানো হয় সংবাদ সম্মেলনে।