কয়েকটি লাশ সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালের মর্গে নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন রূপগঞ্জ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) হুমায়ুন কবির মোল্লা।
শুক্রবার মধ্যরাতে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে তিনি বলেন, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে সব মৃতদেহের ময়না তদন্ত হয়েছে।
“এখন মৃতদেহগুলো সরানোর জন্য বলা হয়েছে। কারণ মর্গে পর্যাপ্ত জায়গা না থাকায় এতোগুলো মৃতদেহ রাখলে অন্য কাজ ব্যহত হবে বলা হচ্ছে।”
পুলিশের এই কর্মকর্তা বলেন, এগুলোর মধ্যে ১৫টি শনিবার সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালের মর্গে স্থানান্তর করা হবে। ৮টি ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগের লাশ ঘরে রাখা হবে।
“বাকিগুলো আপাতত ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গেই থাকবে।”
তবে এসব মৃতদেহ কতদিন এভাবে রাখা যাবে তা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করে হুমায়ুন বলেন, স্বজনদের বুঝিয়ে দেওয়া ছাড়া মৃতদেহগুলো নিয়ে আর কোনো কাজ নেই। কিন্তু ডিএনএ পরীক্ষার ফলাফল না আসা পর্যন্ত বুঝিয়ে দেওয়ার সুযোগ নেই।
“এ ব্যাপারে কি করা যায় সে জন্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সিদ্ধান্ত নিতে হবে।”
তবে দাফন করার সময় কবরে নম্বর দেওয়া হলে পরে ডিএনএ ফলাফল পাওয়ার পর স্বজনরা সেই নম্বর অনুযায়ী মৃত স্বজনের কবর বেছে নিতে পারবে বলে তিনি জানান।
এরই মধ্যে সিআইডি বলেছে, মৃতদেহগুলো স্বজনদের বুঝিয়ে দিতে অন্তত ২১ দিন লাগবে।
নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলার কর্ণগোপ এলাকায় সজীব গ্রুপের ওই কারখানায় বৃহস্পতিবার বিকালে ভয়াবহ আগুন লাগে। রাতেই ৩ জনের মৃত্যুর কথা জানানো হয় স্থানীয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে।
ছয় তলা ভবনের চতুর্থ তলা পর্যন্ত তল্লাশি শেষে শুক্রবার দুপুরের পর ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা মরদেহ বের করে আনতে শুরু করেন। সে সময় ৪৮টি মরদেহ ব্যাগে মোট ৪৯টি মৃতদেহ পাঁচটি অ্যাম্বুলেন্সে করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানোর কথা জানান ফায়ার সার্ভিসের উপ পরিচালক দেবাশিষ বর্ধন।
কিন্তু মৃতদেহগুলো পুড়ে এতটাই বিকৃত হয়ে গেছে যে সেগুলো দেখে আর পরিচয় বোঝার সুযোগ ছিল না।
ফলে একটি ব্যাগে পাঠানো দেহাবশেষগুলোকে একজনের ধরে নিয়ে ৪৮টি মৃতদেহের সুরতহাল তৈরি করা হয়েছে বলে নারায়ণগঞ্জ জেলার জ্যেষ্ঠ সহকারী পুলিশ সুপার সালেহ উদ্দিন আহমেদ জানান।