শুক্রবার ভোরে মিরপুরের রূপনগর ইস্টার্ন হাউজিং এলাকায় গোলাগুলি ওই ঘটনা ঘটে বলে র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈনের ভাষ্য।
পল্লবী থানার ওসি কাজী ওয়াজেদ আলী জানান, সাহিনুদ্দিনকে গত রোববার প্রকাশ্যে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় তার মা আকলিমা বেগম যে ২০ জনকে আসামি করে যে মামলা করেছেন, সেখানে মানিকের নামও রয়েছে।
২৪ বছর বয়সী মানিক ওই হামলায় সরাসরি অংশ নেন এবং সাহিনুদ্দিনের শরীরের বিভিন্ন অংশে কোপান বলে অভিযোগ করা হয়েছে মামলার এজাহারে।
র্যাব কর্মকর্তা খন্দকার আল মঈন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, ‘কয়েকজন সন্ত্রাসী অস্ত্র নিয়ে’ রূপনগর ইস্টার্ন হাউজিং এলাকায় অবস্থান করছে খবর পেয়ে শুক্রবার ভোরে সেখানে যায় র্যাবের একটি দল।
“র্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে সন্ত্রাসীরা গুলি ছোড়ে। র্যাবও তখন পাল্টা গুলি চালায়। মিনিট দশেক গোলাগুলির পর সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়। পরে একজনকে সেখানে পড়ে থাকতে দেখা যায়।”
গুলিবিদ্ধ মানিককে সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন বলে জানান কমান্ডার মঈন।
তিনি বলেন, “স্থানীয়রা ওই যুবককে মানিক হিসেবে শনাক্ত করেছেন। যে দুজন সাহিনুদ্দিনকে কুপিয়ে হত্যা করেছিল, সে তাদের একজন। ভিডিওতে দেখা যায়, মানিক পায়ের দিকে কোপাচ্ছিল।“
পল্লবীর উত্তর কালশীর সিরামিক এলাকার বাসিন্দা আকলিমার দুই ছেলের মধ্যে সাহিনুদ্দিন ছোট। বাউনিয়া মৌজার উত্তর কালশীর বুড়িরটেকের আলীনগর আবাসিক এলাকায় ১০ একর জমি রেখে গেছেন আকলিমার প্রয়াত স্বামী।
আকলিমার অভিযোগ, তাদের ওই জায়গা দখলের চেষ্টা করে আসছেন হাভেলি প্রপার্টি ডেভেলপমেন্ট লিমিটেডের মালিক, লক্ষ্মীপুরের সাবেক এমপি এম এ আউয়াল। তাকেও এ হত্যা মামলায় আসামি করা হয়েছে।
সাহিনুদ্দিন খুন হওয়ার পর আউয়ালসহ মোট সাতজনকে গ্রেপ্তার করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।