মুনিয়ার মৃত্যু: আনভীরকে গ্রেপ্তারের দাবিতে শাহবাগে সমাবেশ

কলেজছাত্রী মোসারাত জাহান মুনিয়াকে আত্মহত্যায় প্ররোচনার মামলার আসামি বসুন্ধরা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সায়েম সোবহান আনভীরকে দ্রুত গ্রেপ্তার করে বিচারের দাবিতে সমাবেশ হয়েছে ঢাকার শাহবাগে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 3 May 2021, 06:47 PM
Updated : 3 May 2021, 06:47 PM

সোমবার বিকালে জাতীয় জাদুঘরের সামনে 'নিপীড়নের বিরুদ্ধে শাহবাগ' ব্যানারে এই কর্মসূচিতে গণজাগরণ মঞ্চের বেশ কয়েক সংগঠকও অংশ নেন।
সমাবেশে 'নিপীড়নের বিরুদ্ধে শাহবাগ' প্ল্যাটফর্মের আহ্বায়ক, সাবেক ছাত্রনেতা আকরামুল হক বলেন, “বলা হচ্ছে মুনিয়া আত্মহত্যা করেছে। কিন্তু পারিপার্শ্বিক ঘটনায় মনে হচ্ছে এটা একটা হত্যাকাণ্ড।

“এই হত্যাকাণ্ডে যার সংশ্লিষ্টতা আছে, সেই বসুন্ধরার এমডি সায়েম সোবহান আনভীরের নাম আসার পর মিডিয়া ট্রায়ালের মাধ্যমে ভিক্টিমকে ব্লেম দেওয়া হচ্ছে। আমরা মনে বসুন্ধরা গ্রুপের প্রভাব-প্রতিপত্তি এই হত্যারকাণ্ডের ন্যায়বিচারের জন্য বাধা হয়ে দাঁড়াবে।”

তাই আনভীরকে অবিলম্বে গ্রেপ্তার করার দাবি জানান তিনি।

যুব ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক খান আসাদুজ্জামান মাসুম সমাবেশে বলেন, “অর্থ ও প্রভাব প্রতিপত্তিকে ব্যবহার করে ধনিক গোষ্ঠীর সন্তানরা সমাজকে কলুষিত করছে, তাদেরকে রুখে দিতে হবে। মুনিয়ার মতো আর যাতে কোনো তরুণীর এভাবে মৃত্যু না হয়, সেজন্য এই ঘটনার দৃষ্টান্তমূলক বিচার দাবি করছি।”

অ্যাডভোকেট জীবনানন্দ জয়ন্তু বলেন, “মুনিয়া হত্যার ঘটনাকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করার চেষ্টা চলছে। যেমন আমরা লক্ষ্য করছি, যার বিরুদ্ধে অভিযোগ, তাকে গ্রেপ্তার করা হচ্ছে না। একই সাথে যে আইনে মামল দায়ের করা হয়েছে, এর বাইরেও আরও যে সকল আইন প্রয়োগ করার সুযোগ ছিল, সেটি করা হয়নি।”

শ্রাবণ প্রকাশনীর প্রকাশক রবিন আহসানের সঞ্চালনায় সমাবেশে ছাত্র সংগঠনসহ বিভিন্ন সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতারা বক্তব্য দেন।

সমাবেশ থেকে মুনিয়ার মৃত্যুর ঘটনায় নিরপেক্ষ তদন্ত ও যথাযথ আইনে বিচার, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও গণমাধ্যমে তার চরিত্র হনন বন্ধে বিটিআরসি এবং তথ্য মন্ত্রণালয়কে দ্রুত পদক্ষেপ নিতে আহ্বান জানানো হয়।

গত ২৬ এপ্রিল  ঢাকার গুলশানের একটি ফ্ল্যাট থেকে গলায় ওড়না প্যাঁচানো অবস্থায় কলেজছাত্রী মুনিয়ার ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়।

পরে আত্মহত্যার প্ররোচনার অভিযোগ এনে গুলশান থানায় মামলা করেন ওই তরুণীর বোন নুসরাত জাহান।

পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ওই তরুণীর ফ্ল্যাটে বসুন্ধরা গ্রুপের এমডির যাতায়াতের প্রমাণ পেয়েছেন তারা।

এদিকে মুনিয়ার ভাই আদালতে আরেকটি অভিযোগে বলেছেন, তার বোনকে হত্যা করা হয়েছে। এরজন্য হুইপ সামশুল হক চৌধুরীর ছেলে শারুন চৌধুরীকে দায়ী করেছেন তিনি।

আরও খবর