মুনিয়ার ফ্ল্যাটে ‘৬টি ডায়েরি’ পেয়েছে পুলিশ
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published: 27 Apr 2021 08:04 PM BdST Updated: 29 Apr 2021 04:37 AM BdST
গুলশানের যে ফ্ল্যাট থেকে কলেজছাত্রী মোসারাত জাহান মুনিয়ার ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে, সেখানে ছয়টি ডায়েরি পাওয়ার কথা জানিয়েছে পুলিশ।
Related Stories
বসুন্ধরা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) সায়েম সোবহান আনভীরের ‘প্ররোচনায়’ এই তরুণী আত্মহত্যা করেছেন অভিযোগ করে তার পরিবার ইতোমধ্যে থানায় মামলা করেছেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে পুলিশ ঘটনার তদন্ত করছে।
ডিএমপির গুলশান বিভাগের উপ-কমিশনার সুদীপ কুমার চক্রবর্তী মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “ওই তরুণীর মৃহদেহ উদ্ধারের পর সেখান থেকে তার মোবাইলসহ বিভিন্ন ধরনের আলামত উদ্ধারের সাথে ৬টি ডায়েরি পাওয়া যায়। এসব ডায়েরিতে কী লিখা আছে, তা যাচাই করা হচ্ছে।”

সায়েম সোবহান আনভীর
পরিবারের মামলায় অভিযোগ করা হয়েছে, সায়েম সোবহান আনভীরের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক ছিল মুনিয়ার। আর ওই বাসায় আনভীরের যাতায়াত ছিল। তবে এসব বিষয়ে সায়েম সোবহানের কোনো বক্তব্য কোনো গণমাধ্যমই পায়নি।
পুলিশ কর্মকর্তা সুদীপ বলেন, “ওই ফ্ল্যাটে তরুণী একা থাকার কথা বলা হলেও কে কে আসা যাওয়ার মধ্যে থাকত, সে জন্য ভবনের সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করা হয়েছে। উদ্ধার হওয়া ডায়েরির সাথে সেগুলো যাচাই চলছে।”
মুনিয়ার মৃত্যু কী আত্মহত্যা, তা নিশ্চিত হতে ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনের অপেক্ষায় রয়েছে পুলিশ।
উপকমিশনার সুদীপ বলেন, “ আমরা অপেক্ষা করছি ময়নাতদন্তের প্রতিবেদনের জন্য। আপাতত হ্যাংগিং মনে হলেও প্রতিবেদন থেকে জানা যাবে কীভাবে তার মৃত্যু হয়েছে।
“এরপরেই তদন্তের গতি নির্ধারণ হবে। এখন আমরা এভিডেন্স কালেকশন করছি।”
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ময়নাতদন্তের পর মুনিয়ার লাশ কুমিল্লায় নিয়ে মঙ্গলবারই দাফন করেছেন স্বজনরা।
মুনিয়ার বড় বোন ইসরাত জাহান তানিয়া কুমিল্লায় সাংবাদিকদের বলেন, “মুনিয়া ডায়রি লিখত। সেখান থেকে অনেক তথ্য পাওয়া যেতে পারে।”
‘আত্মহত্যায় প্ররোচনার’ মামলায় বসুন্ধরা এমডির দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা
‘আত্মহত্যায় প্ররোচনার’ মামলায় বসুন্ধরা এমডির দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা
সোমবার সন্ধ্যায় গুলশান-২ এর ১২০ নম্বর রোডের ওই ফ্ল্যাট থেকে মুনিয়ার ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। পরে রাত দেড়টার দিকে গুলশান থানায় মামলা করেন ওই তরুণীর বোন নুসরাত জাহান।
মুনিয়া ঢাকার একটি কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন। তার বাড়ি কুমিল্লায়; পরিবার সেখানেই থাকে। তিনি ঢাকায় একাই থাকতেন গুলশানের ওই ফ্ল্যাটে।

গুলশান থানা
উপ-কমিশনার সুদীপ বলেন, গত ১ মার্চ মুনিয়া ওই ফ্ল্যাটে উঠে। সব মিলে ১ লাখ ১১ হাজার টাকার ভাড়ার চুক্তি হয়েছিল বাড়িওয়ালার সঙ্গে । মুনিয়ার বোন এবং ভগ্নিপতি ব্যাংকার হওয়ায় বাড়িওয়ালী ভাড়া দিতে রাজি হয়েছিলেন।
পুলিশের আবেদনে ইতোমধ্যে সায়েম সোবহানের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে আদালত। তবে তিনি আদৌ দেশে আছেন কি না, তা নিয়ে সন্দেহ দেখা দিয়েছে।
উপ কমিশনার সুদীপ বলেন, “তিনি (সায়েম সোবহান) দেশের বাইরে চলে গেছেন কি না এ ব্যাপারে আমাদের পক্ষ থেকে ইমিগ্রেশনে খোঁজ নেওয়া হয়েছে। ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে তিনি দেশের বাইরে যাননি।”
বসুন্ধরা এমডি যাতে দেশের বাইরে যেতে না পারেন, সে জন্য ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষের কাছে চিঠি দেওয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি।
-
২ বছর পর একশ জনের যুব প্রতিনিধি দল যাচ্ছে ভারতে
-
কোভিড সনদ নিয়ে বিদেশগামীদের সঙ্গে প্রতারণা, গ্রেপ্তার ৭
-
ভারত জানালেই পি কে হালদারকে আনার বিষয়ে ব্যবস্থা: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
-
অবৈধভাবে ‘জ্যামার ও নেটওয়ার্ক বুস্টার’ বিক্রি, গ্রেপ্তার ২
-
ভালোবাসার শিক্ষায় শান্তি ফিরুক বিশ্বে, প্রত্যাশা বুদ্ধ পূর্ণিমায়
-
‘এত আইনের মধ্য দিয়ে সাংবাদিকতা বিকাশের সুযোগ নাই’
-
শিক্ষা অধিদপ্তরের অফিস সহকারী নিয়োগ পরীক্ষায় জালিয়াতি, গ্রেপ্তার ১
-
ইয়াং বাংলার নতুন সদস্য শেখ হাসিনা
সর্বাধিক পঠিত
- সিটির হোঁচটে লিভারপুলের আশার পালে দোলা
- ‘অস্ট্রেলিয়া হারাল আরেক নায়ককে’
- 'ভয়ঙ্কর' কাদিসে পারল না রিয়াল
- মেসি-এমবাপের নৈপুণ্যে পিএসজির বড় জয়
- ‘ফ্রি ফায়ারে’ আসক্ত কিশোর, বেঁধে রাখা হচ্ছে শেকলে
- সড়ক দুর্ঘটনায় অ্যান্ড্রু সাইমন্ডসের মৃত্যু
- শ্রীলংকায় ফের সংগঠিত হচ্ছে তামিল টাইগাররা, গোয়েন্দাদের সতর্কবার্তা
- ম্যাথিউসের লড়াকু সেঞ্চুরি, পিছিয়ে বাংলাদেশ
- ‘মেসি-নেইমারকে বদলে কাকে পেতে চান?’
- তাজমহলের সেই বন্ধ কক্ষগুলোর রহস্য কী?