এবছর বৈশাখের শুরুটা বৃষ্টিহীন যাচ্ছে, গত মার্চ থেকে এনিয়ে তৃতীয় তাপদহ বইছে দেশজুড়ে। প্রচণ্ড গরমে জনজীবনে নাভিঃশ্বাস উঠেছে।
মাঝ বৈশাখে ঝড়-বৃষ্টির আভাস আগেই দিয়েছিল আবহাওয়া অধিদপ্তর। বুধবার তা শুরুর খবরও জানিয়েছে।
এদিন রাত ৮টা থেকে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে কালবৈশাখী ঝড় বয়ে যায় বলে জ্যেষ্ঠ আবহাওয়াবিদ আবদুর রহমান খান জানিয়েছেন।
তিনি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, রংপুর, গাইবান্ধা, বগুড়া জেলার অনেক স্থানে,ময়মনসিংহ বিভাগের উত্তর পশ্চিমের জেলাগুলো, সিরাজগঞ্জ, জয়পুরহাট, নওগাঁ ও নাটোরে বজ্র বৃষ্টি হয়েছে।
গরম পেরিয়ে প্রত্যাশিত বৃষ্টি নামার পর অনেকে সোশাল মিডিয়ায় তার ছবি-ভিডিও দিয়েছেন।
আগামী ২৪ ঘণ্টায় টাঙ্গাইল, বগুড়া, কুমিল্লা, কিশোরগঞ্জ জেলাসহ রংপুর, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের দুয়েক জায়গায় অস্থায়ী দমকাসহ বৃষ্টি হতে পারে বলে আভাস মিলেছে।
আবহাওয়াবিদ রহমান বলেন, “চলতি মৌসুমে দীর্ঘ সময় ধরে বৃষ্টি না থাকায় অসহনীয় গরম অনুভূত হয়েছে। এরই মধ্যে চলতি সপ্তাহ ধরে দেশজুড়ে বয়ে গেছে মৃদু থেকে তীব্র তাপপ্রবাহ।
“আজ থেকে কালবৈশাখীসহ বজ্রবৃষ্টির প্রবণতা বাড়ছে। আগামী মাসের মাঝামাঝি এর দাপট থাকবে।”
“অসহনীয় গরমে কাটছে; তবে বজ্রবৃষ্টির প্রবণতা বাড়বে সামনে। প্রাণহানি এড়াতে সবাইকে সতর্কও থাকতে বলেন তিনি।
গত ২৪ ঘণ্টায় নেত্রকোণা আর মৌলভীবাজারে বজ্রপাতে ‘বিজিবি সদস্যসহ’ তিনজনের মৃত্যু হয়েছে।
বুধবারও রাঙামাটি, কুমিল্লা, ফেনী, নোয়াখালী, সীতাকুণ্ড, শ্রীমঙ্গল ও দিনাজপুর অঞ্চলসহ রাজশাহী, খুলনা, বরিশাল ও ঢাকা বিভাগের উপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছিল।
বুধবার দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে রাজশাহীতে ৩৯.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এসময় ঢাকায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা উঠেছিল ৩৭.১ ডিগ্রি সেলসিয়াসে।