বুধবার ঢাকার ৭ নম্বর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক বেগম কামরুন্নাহার মামলার প্রথম তদন্ত কর্মকর্তা আতাউর রহমানের সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য ১৭ ফেব্রুয়ারি দিন রেখেছেন।
এর আগে মামলাটিতে এক সাক্ষীর ১৬৪ ধারার জবানবন্দী হাকিম খুরশিদ আলম এবং গুলশান-১ এর মদিনা ফার্মেসির সেলসম্যান মিঠুন চন্দ্র দাসের সাক্ষ্য নেওয়া হয়।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী আফরোজা ফারহানা আহমেদ অরেঞ্জ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, ভিকটিমদের বন্ধু শাহরিয়ার ১৬৪ ধারার জবানবন্দি দিয়েছিলেন। কিন্তু শাহরিয়ারকে রাষ্ট্রপক্ষে সাক্ষ্য দিতে হাজির করা যায়নি।
বুধবার এসব সাক্ষীকে আসামিপক্ষের আইনজীবী মাহবুবুর রহমান, কাজী নজিবুল্যাহ হিরু ও আরো একজন আইনজীবী জেরা করেন।
এ নিয়ে মামলাটিতে অভিযোগপত্রভুক্ত ৪৭ জন সাক্ষীর মধ্যে ২০ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ শেষ হলো।
আসামিরা হলেন- আপন জুয়েলার্সের কর্ণধার দিলদার আহমেদের ছেলে সাফাত আহমেদ, তার বন্ধু সাদমান সাকিব, নাঈম আশরাফ ওরফে এইচ এম হালিম, সাফাতের দেহরক্ষী রহমত আলী ও গাড়িচালক বিল্লাল হোসন।
পাঁচ আসামিই জামিনে আছেন। এদিন তারা আদালতে হাজিরা দেন।
ম্যাজিস্ট্রেটর সাক্ষ্য গ্রহণকালে সাফাত, সাদমান, রহমত, সাফাতের বন্ধু নাঈম ও গাড়িচালক বিল্লাল আদালতে হাজির হন। তারা সবাই জামিনে আছেন।
২০১৭ সালের ২৮ মার্চ জন্মদিনের অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানিয়ে অস্ত্রের মুখে ঢাকার বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ওই দুই ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে ৬ মে বনানী থানায় পাঁচজনের বিরুদ্ধে একটি মামলা করা হয়।
ওই বছরের ৭ জুন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশের উইমেন সাপোর্ট অ্যান্ড ইনভেস্টিগেশন ডিভিশনের (ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টার) পরিদর্শক ইসমত আরা এমি আদালতে আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।