খোঁজাখুঁজি করে রাফিকে না পেয়ে তার পরিবার থানায় সাধারণ ডায়েরি করেছে। এর মধ্যেই সন্ধান মেলার কথা বলে প্রতারকরা টাকাও হাতিয়ে নিয়েছে তার পরিবারের কাছ থেকে।
সাদমানের মা মনোয়ারা হোসেন ভাটারা থানায় করা সাধারণ ডায়েরিতে (জিডি) বলেছেন, গত ১৩ জানুয়ারি সকালে তার ছেলে কাউকে কিছু না বলে বাসা থেকে বেরিয়ে যায়। এরপর আর বাসায় ফেরেনি। তার মোবাইল ফোনটিও বন্ধ পাওয়া যাচ্ছে। খোঁজাখুঁজি করেও সন্ধান মেলেনি।
এর আগে তিনি বাবা-মায়ের সঙ্গে সৌদি আরবে থাকতেন। তার বাবা বেলায়েত হোসেন একজন ব্যবসায়ী।
মনোয়ারা বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “সাদমানের জন্ম ও বেড়ে ওঠা সৌদি আরবে। মালয়েশিয়া থেকে ৭০ ক্রেডিট সম্পন্ন করে ২০১৯ সালের শেষের দিকে বাংলাদেশে ফিরে এসে নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়।
“তবে এনএসইউ কর্তৃপক্ষ মাত্র ১৩ ক্রেডিট গ্রহণ করে। তাই এ বছর সে পুনরায় মালয়েশিয়ায় ফিরে যাবে বলে ঠিক করে। এ নিয়ে কিছুদিন যাবত ওর মন খারাপ ছিল।”
সাদমানের মেয়াদোত্তীর্ণ পাসপোর্টের মেয়াদ বাড়ানোর জন্য পাসপোর্ট অফিসে জমা দেওয়া হয়েছিল বলে জানান তার মা।
তিনি বলেন, বাসা থেকে বের হওয়ার সময় সাদমান তার ল্যাপটপ ও অ্যান্ড্রয়েড ফোনটিই কেবল সঙ্গে নিয়েছিলেন।
“এখনও পর্যন্ত পুলিশ কোনো হদিস দিতে পারেনি। সাদমান ঢাকার রাস্তাঘাট তেমন ভালো চেনেও না," বলেন মনোয়ারা।
এ বিষয়ে ভাটারা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) রফিক বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “সাদমানকে খুঁজে বের করার সকল চেষ্টা চলছে। কিন্তু তার মোবাইল ফোনটি বন্ধ থাকায় তার অবস্থান নিশ্চিত করা যাচ্ছে না।”
সাদমানের মোবাইল কলের তালিকা থেকে কয়েকটি অনলাইন খাবার সরবরাহ প্রতিষ্ঠানের কর্মী ছাড়া সন্দেহজনক কিছু পাওয়া যায়নি বলে জানান তিনি।
মনোয়ারা বলেন, বুধবার পুলিশ পরিচয় দিয়ে ফোন করে 'ফেনীতে সাদমানকে রক্তাক্ত অবস্থায় পাওয়া গেছে' এমন তথ্য দিয়ে প্রতারণার মাধ্যমে মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে ৮ হাজার টাকা নেওয়া হয় তাদের কাছ থেকে। কিন্তু তা ছিল ভুয়া খবর।
এ বিষয়ে পুলিশ কর্মকর্তা রফিক বলেন, “পুলিশ পরিচয় দিয়ে কেউ টাকা দাবি করলে সে ক্ষেত্রে তার দায় পুলিশ নেবে না।”