সোমবার তিনি কমান্ড্যান্ট হিসেবে দায়িত্বে যোগ দেন বলে মঙ্গলবার আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।
বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালসের (বিইউপি) উপাচার্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসা আতাউল হাকিম সারওয়ার হাসানকে গত ২৬ নভেম্বর লেফটেন্যান্ট জেনারেল হিসেবে পদোন্নতি দিয়ে ন্যাশনাল ডিফেন্স কলেজের কমান্ড্যান্ট করে সরকার।
তিনি এই পদে লেফটেন্যান্ট জেনারেল শেখ মামুন খালেদের স্থলাভিষিক্ত হলেন। মামুন খালেদ সোমবারই অবসরে গেছেন।
আইএসপিআর জানিয়েছে, আতাউল হাকিম সারওয়ার হাসান কমান্ড্যান্ট হিসেবে দায়িত্ব বুঝে নেওয়ার আগে সেনা সদরদপ্তরে তাকে লেফটেন্যান্ট জেনারেলের র্যাংক ব্যাজ পরিয়ে দেন সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদ এবং কিউএমজি লেফটেন্যান্ট জেনারেল মো. শামসুল হক। সেনা সদরদপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারাও এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
রামু সেনানিবাসের দশম পদাতিক ডিভিশনের প্রথম জিওসি হিসেবে দায়িত্ব পালন করা এই জেনারেল সেনা সদর দপ্তর, যুক্তরাষ্ট্রের সেন্ট্রাল কমান্ড হেডকোয়ার্টারের কম্বাইন্ড প্ল্যানিং গ্রুপ এবং ডিফেন্স সার্ভিসেস ফোর্সেস ইন্টেলিজেন্সেও কাজ করেছেন।
ইরাকে জাতিসংঘ শান্তি মিশনে তিনি দায়িত্ব পালন করেছেন একজন সিনিয়র অপারেশন্স অফিসার হিসেবে।
১৯৬৬ সালে নরসিংদী জেলায় জন্মগ্রহণ করা সারওয়ার হাসান বেড়ে উঠেছেন ঢাকায়। ইউনিভার্সিটি ল্যাবরেটরি স্কুল ও ঢাকা কলেজের লেখাপড়া শেষ করে তিনি সেনাবাহিনীতে যোগ দেন।
বাংলাদেশের ডিফেন্স সার্ভিসেস কমান্ড অ্যান্ড স্টাফ কলেজের গ্র্যাজুয়েট সারওয়ার হাসান ব্রাজিলের স্টাফ কলেজে পড়তে গিয়ে পরে পর্তুগিজ ভাষাও শিখেছেন।
নর্দার্ন ইউনিভার্সিটি, বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালস এবং ডিফেন্স সার্ভিসেস কমান্ড অ্যান্ড স্টাফ কলেজ থেকে তিনটি মাস্টার্স করা এই সেনা কর্মকর্তা জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সিকিউরিটি স্টাডিজে পিএইচডি করেছেন।
লেফটেন্যান্ট জেনারেল আতাউল হাকিম সারওয়ার হাসানের স্ত্রী ফারজানা হাসান শহীদ আনোয়ার গার্লস স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষক। তারা দুই ছেলের জনক-জননী।