কোভিড-১৯: সব বন্দরে ফের নজরদারির নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর

দেশে করোনাভাইরাস মহামারী শুরুর পর বিভিন্ন বন্দরে যে ধরনের নজরদারি ও সুরক্ষা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছিল, তা আবার ফিরিয়ে আনার নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 1 Nov 2020, 09:10 AM
Updated : 1 Nov 2020, 10:27 AM

রোববার গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধু জাতীয় যুব দিবসের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে তিনি এ বিষয়ে কথা বলেন।  

ইউরোপের দেশগুলোতে নতুন করে করোনাভাইরাসের প্রকোপ বাড়ার বিষয়টি তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, “এখন সময় এসে গেছে, এখন থেকে বাইরে থেকে আমাদের দেশে যারা আসবে, তাদের পরীক্ষা করা, তাদের কোয়ারেন্টিনে রাখা... এটা আমাদের সেই এয়ারপোর্ট থেকে শুরু করে প্রত্যেকটা পোর্টে পোর্টে এখন থেকে আবার সেই আগের মত ব্যবস্থা নিতে হবে।”

বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের প্রথম সংক্রমণ ধরা পড়েছিল গত ৮ মার্চ; ইতোমধ্যে তা ৪ লাখ ৭ হাজার পেরিয়ে গেছে। এ ভাইরাসে এ পর্যন্ত ৫ হাজার ৯২৩ জনের মৃত্যুর তথ্য দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।

এদিকে বিশ্বে এ পর্যন্ত শনাক্ত রোগীর সংখ্যা সাড়ে ৪ কোটি ছাড়িয়ে গেছে; মৃতের সংখ্যা পৌঁছে গেছে ১২ লাখের কাছাকাছি।

ছবি: পিআইড

গতবছর ডিসেম্বরে চীনে যখন নতুন এ করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব দেখা দিল, অন্য অনেক দেশের মত বাংলাদেশেও জানুয়ারি থেকেই বিমান ও স্থলবন্দরগুলোতে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেওয়া শুরু হয়। বিদেশফেরত যাত্রীদের তাপমাত্রা পরীক্ষাসহ স্ক্রিনিংয়ের পাশাপাশি কারও মধ্যে অসুস্থতার লক্ষণ থাকলে তাকে ১৪ দিনের কোয়ারেন্টিনে পাঠানোর ব্যবস্থা হয়।

ঢাকার আশকোনা হজ ক্যাম্পে ও উত্তরার পাশের দিয়াবাড়িতে সরকারি ব্যবস্থাপনায় কোয়ারেন্টিন সেন্টার পরিচালনার দায়িত্ব দেওয়া হয় সেনাবাহিনীকে। বিদেশ ফেরতদের হোম কোয়ারেন্টিন নিশ্চিত করতে সে সময় হাতে সিল লাগিয়ে দেওয়ারও ব্যবস্থা নেয় ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষ।

মাঝখানে দুই মাসের বেশি সময় আন্তর্জাতিক ফ্লাইট চলাচল বন্ধ থাকলেও এখন আবার কয়েকটি দেশ থেকে আকাশ পথে যাত্রী পরিবহন হচ্ছে।

তাই আবারও সুরক্ষা ব্যবস্থাগুলো ফিরিয়ে আনার নির্দেশনা দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “কেউ ঢুকতে গেলেই করোনাভাইরাস নিয়ে ঢুকছে কিনা তা পরীক্ষা করতে হবে। কারণ আমার দেশের মানুষের সুরক্ষটা আমাদের নিশ্চিত করতে হবে।”

মহামারীর মধ্যে শিক্ষার্থীরা তাদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যেতে না পারলেও সংসদ টেলিভিশনের মাধ্যমে তাদের ক্লাস নেওয়ার যে ব্যবস্থা হয়েছে, সে বিষয়টি উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “সবাই যার যার পড়াশোনা নিজেরা একটু করতে হবে। বাবা-মাও সেটা যেন দেখে। আর খেলাধুলার প্র্যাকটিসটাও যেন থাকে, সেই সুযোগটাও আমরা সৃষ্টি করে দিচ্ছি।”