মঙ্গলবার তার বাধ্যতাধমূলক অবসর কার্যকর হয়েছে।
সংসদ সচিবালয়ের এ সংক্রান্ত অফিস আদেশে বলা হয়েছে, “গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি রাষ্ট্রের অন্য সব ব্যক্তির ঊর্ধ্বে স্থান লাভ করেন। কোন ব্যক্তির পক্ষে মহামান্য রাষ্ট্রপতি সম্পর্কে কোন অসত্য বক্তব্য প্রদান সাংবিধানিক চেতনার পরিপন্থি। তিনি মহামান্য রাষ্ট্রপতি সম্পর্কে অসত্য বক্তব্য প্রদান করেছেন, যা একজন সরকারি কর্মচারী হিসেবে অনুচিত ও অনভিপ্রেত।”
আদেশে বলা হয়, “এহেন কার্যকলাপের জন্য জাতীয় সংসদ সচিবালয় কর্মকর্তা ও কর্মচারী (শৃংখলা ও আপিল) বিধিমালা, ২০০৫ এর ২ (চ) অনুযায়ী ‘অসদাচরণ’ এর অভিযোগে বিভাগীয় মামলা রুজু করে তাকে (মো. আতর আলীকে) অভিযোগনামা দেওয়া হয়। ন্যায় বিচারের স্বার্থে আনীত অভিযোগ তদন্ত করার জন্য তদন্তকারী কর্মকর্তা নিয়োগ করা হয়। তদন্তকারী কর্মকর্তা বিষয়টি তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিল করেন।
“তার বিরূদ্ধে আনীত অভিযোগে প্রমাণিত হয়েছে মর্মে প্রতিবেদনে উল্লেখ রয়েছে। যেহেতু, ‘অসদাচরণ’ এর অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় কর্তৃপক্ষ তাকে (মো. আতর আলীকে) ‘বাধ্যতামূলক অবসর দান’ গুরুদণ্ড প্রদানের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন।”
গত ১৭ অগাস্ট সংসদের শপথ কক্ষে জাতীয় শোক দিবসের আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী ভার্চুয়ালি অনুষ্ঠানে অংশ নেন।
কর্মচারীদের পক্ষ থেকে আতর আলী সেখানে তার বক্তব্যে বলেন, বর্তমান রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ স্পিকার থাকার সময় ‘এ ধরনের অনুষ্ঠান হয়নি।’
গত ৬ সেপ্টেম্বর সংসদের সিনিয়র সহকারী সচিব মোহাম্মদ খালেদুর রহমান স্বাক্ষরিত চিঠিতে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয় আতর আলীকে। পরে গত ১৩ সেপ্টেম্বর তার পরিচয়পত্র জমা দেওয়ার জন্য চিঠি দেওয়া হয়। পরে সামিয়ক বরখাস্তও করা হয়।
চতুর্থ শ্রেণি কর্মচারী সমিতির সাবেক সভাপতি আতর আলী সংসদ সচিবালয়ে সংসদ নেতার দপ্তরে কর্মরত ছিলেন।
আতর আলীর লিখিত আবেদনের প্রেক্ষিতে গত ২২ সেপ্টেম্বর সংসদের উত্তর পশ্চিম ব্লকের ৭৩১ নম্বর কক্ষে শুনানি অনুষ্ঠিত হয়।
এর আগে তার বিরুদ্ধে উত্থাপিত অভিযোগনামার চিঠির জবাবে ব্যক্তিগত শুনানির আগ্রহ প্রকাশ করেন তিনি।
শাস্তির বিষয়ে বক্তব্যের জন্য আতর আলীর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি।