সংসদের চতুর্থ শ্রেণির কর্মকর্তা সমিতির সাবেক এই সভাপতির সংসদে যাওয়ার পরিচয়পত্রও জব্দ করা হয়েছে।
এর আগে গত ১৩ সেপ্টেম্বর তার পরিচয়পত্র জমা দেয়ার জন্য চিঠি হয়।
সংসদের ডেপুটি সার্জেন্ট অ্যাট আর্মস অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপারেশন্স) এস এম সিরাজুল হুদা তার পরিচয়পত্র জমা দেওয়ার নির্দেশ দেন।
এরপর নিষিদ্ধ আতর আলী লোক মারফত বুধবার পরিচয়পত্র জমা দেন।
তিনি বৃহস্পতিবার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “সাময়িক বরখাস্তের চিঠি আমাকে দিয়েছে। এর আগে আমাকে কারণ দর্শানোর নোটিস দিয়েছিল। তার জবাব আমি দিয়েছি। দ্বিতীয়বার আবারও আমাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছে। আগামী সপ্তাহে আমি চিঠির জবাব দেব।”
আতর আলী বলেন, “এক কথা বলতে গিয়ে আরেক রকম মানে ধরা হল। যদি আমি ভুল করে থাকি তাহলে আমি ক্ষমা চাইছি। আর কী করবো। কপালে যে দুর্ভোগ আছে তাই হবে।”
জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে সংসদ সচিবালয়ের অনুষ্ঠানে সরকারি কর্মচারী হয়েও রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ পর্যায়ের ব্যক্তিকে নিয়ে ‘অসত্য’ বক্তব্য দেয়ায় আতর আলীকে প্রথমে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়। পরে তাকে সংসদ এলাকায় নিষিদ্ধ করা হয়।
গত ১৭ অগাস্ট সংসদের শপথ কক্ষে জাতীয় শোক দিবসের আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী ভার্চুয়ালি অনুষ্ঠানে অংশ নেন।
কর্মচারীদের পক্ষ থেকে আতর আলী সেখানে তার বক্তব্যে বলেন, বর্তমান রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ স্পিকার থাকার সময় ‘এ ধরনের অনুষ্ঠান হয়নি’।
গত ৬ সেপ্টেম্বর সংসদের সিনিয়র সহকারী সচিব মোহাম্মদ খালেদুর রহমান স্বাক্ষরিত চিঠিতে কারণ দর্শানোর নোটিস দেওয়া হয় আতর আলীকে।
চতুর্থ শ্রেণি কর্মচারী সমিতির সাবেক সভাপতি আতর আলী সংসদ সচিবালয়ে সংসদ নেতার দপ্তরে কর্মরত ছিলেন।