আন্তর্জাতিক প্রবীণ দিবস উপলক্ষে বৃহস্পতিবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে ‘মহামারী করোনা: প্রবীণদের নিয়ে ভাবনা’ শিরোনামের এক আয়োজনে তিনি একথা বলেন।
জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, “শিক্ষা ক্ষেত্রে কারিকুলামে পরিবর্তন আনতে হবে। হাই স্কুলে পড়ুয়া তরুণদের সপ্তাহে অন্তত একদিন বৃদ্ধলোকদের সঙ্গ দিতে হবে।
তিনি বলেন, “বৃদ্ধদের অবহেলা করার ফলে সে মানসিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়ছে। কথায় কথায় আত্মহত্যা করছে, যৌন নিপীড়ন বাড়ছে। একটার সাথে আরেকটা সম্পর্কিত। সেজন্য ঘুরে ফিরে যা আসে তা হল- সুষ্ঠু রাজনীতি দরকার।
“অনেক কিছুর মধ্যে আমাদের এই নৈরাজ্য কমাতে হবে। সুষ্ঠু শাসন, সুষ্ঠু রাজনীতি না হলে চলবে না। সকলকে সহনশীল হয়ে মিলেমিশে আমাদের দেশটাকে পরিবর্তনের দিকে নিতে হবে।”
কর্মক্ষম থাকা সত্ত্বেও অনেক প্রবীণকে ‘সংকীর্ণ দৃষ্টিতে দেখা হচ্ছে’ বলে অভিযোগ করেন জাফরুল্লাহ চৌধুরী।
তিনি বলেন, “দেশে প্রায় ১ কোটি ৩০ লাখের মতো প্রবীণ রয়েছেন। এদের অধিকাংশই উচ্চ শিক্ষিত। সমাজকে দেওয়ার মতো তাদের অনেক কিছু আছে। কিন্তু তাদের সংকীর্ণ দৃষ্টিতে দেখে কিছু আমলাকে সচিব থেকে সিনিয়র সচিব করা হল। ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য সরকার এসব নৈরাজ্য করছে।”
দেশের যেসব এলাকায় প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে, ওই সব এলাকার প্রবীণরা বিদ্যালয়ে গিয়ে প্রতিদিন ২ ঘণ্টা নিজেদের পছন্দসই বিষয় পড়াতে পারেন বলেও পরামর্শ দেন তিনি।
তিনি বলেন, “আগারগাঁওয়ে যে প্রবীণ নিবাস রয়েছে তা অত্যন্ত খারাপ অবস্থায় রয়েছে। সেখানে যে পরিবেশে বয়োবৃদ্ধরা থাকেন, তা বলার ভাষা রাখে না।”
তাতে সায় দিয়ে জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, “আগারগাঁওয়ে প্রবীণ নিবাস অত্যন্ত ন্যক্কারজনক অবস্থায় রয়েছে।”
তিনি বলেন, “সরকার চাইলে ১৫ দিনের মধ্যে ওষুধের মূল্য কমে অর্ধেকে নেমে আসতে পারে এবং এতে ওষুধ কোম্পানিরও কোনো ক্ষতি হবে না।”
আয়োজক প্রতিষ্ঠান আজহার-শফিক ফাউন্ডেশনের সভাপতি এ কে এম শফিকুল ইসলাম আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন।