দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আবেদনে বিচারপতি মো. নূরুজ্জামানের ভার্চুয়াল চেম্বার আদালত মঙ্গলবার এ আদেশ দেয়।
দুদকের আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী খুরশীদ আলম খান। সোহেল রানা বিশ্বাসের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী শাহ মঞ্জুরুল হক।
খুরশীদ আলম খান পরে সাংবাদিকদের বলেন, “চেম্বার আদালত সোহেল রানার জামিন ৮ সপ্তাহের জন্য স্থগিত করে দিয়েছেন। এখন আমরা হাই কোর্টের আদেশের অনুলিপি পেলে লিভ টু আপিল করব।”
বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদারের ভার্চুয়াল হাই কোর্ট বেঞ্চ গত ১৬ জুন পাসপোর্ট জমা দেওয়ার শর্তে সোহেল রানাকে জামিন দিয়েছিল।
পরে গত ২৩ জুন দুদকের আবেদনে আপিল বিভাগের চেম্বার আদালত ৩০ জুন পর্যন্ত হাই কোর্টের জামিন আদেশ স্থগিত করে দেয়।
তবে তার আগে ২৫ জুন দুদক এ মামলায় আদালতে অভিযোগপত্র দেয়। পরে জজ আদালতে নতুন করে জামিন আবেদন করেন সোহেল রানা বিশ্বাস। গত ২৩ জুলাই জজ আদালত সোহেল রানার জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে।
এরপরে গত সপ্তাহে হাই কোর্টে জামিন চেয়ে আবেদন করেন সোহেল রানা। সে আবেদনের শুনানি নিয়ে গত ২০ সেপ্টেম্বর আদালত তাকে আবার ছয় মাসের জামিন দেয়। মঙ্গলবার সে জামিনই স্থগিত করে দিল চেম্বার আদালত।
২০১৮ সালের ২৬ অক্টোবর চট্টগ্রাম থেকে ছেড়ে আসা ময়মনসিংহগামী বিজয় এক্সপ্রেস থেকে নগদ ৪৪ লাখ ৪৩ হাজার টাকা ও ফেনসিডিলসহ সোহেল রানা বিশ্বাসকে আটক করে রেলওয়ে পুলিশ।
তার কাছ থেকে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান থেকে নেওয়া ১ কোটি ৩০ লাখ টাকার চেক এবং তার স্ত্রীর নামে ২ কোটি ৫০ লাখ টাকার এফডিআরের নথিও উদ্ধার করা হয়।
পরে সোহেল রানা বিশ্বাসের বিরুদ্ধে মাদক ও মানি লন্ডারিং আইনে দুটি মামলা করেন ভৈরব রেলওয়ে থানার এসআই মো. আশ্রাফ উদ্দিন ভূঁইয়া। মামলা হওয়ার পর কারা কর্তৃপক্ষ তাকে বরখাস্ত করে।