জেএসসি পরীক্ষা বাতিল হওয়ায় তাদের নবমে উত্তীর্ণ করতে মূল্যায়ন কীভাবে হবে, তারও সুনির্দিষ্ট কোনো কোনো পদ্ধতি ঠিক করতে পারেননি বোর্ড চেয়ারম্যানরা।
গত এপ্রিলে এইচএসসি পরীক্ষা হওয়ার কথা থাকলেও করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কারণে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে গেলে পাবলিক পরীক্ষাটি আটকে যায়।
শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এখনও খোলার সিদ্ধান্ত হয়নি। উপরন্তু পিইসি, জেএসসি পরীক্ষা বাতিল করা হয়েছে। ফলে শিক্ষার্থীদের পরবর্তী শ্রেণিতে উত্তীর্ণের ক্ষেত্রে মূল্যায়নের পদ্ধতি নিয়েও দেখা দিয়েছে প্রশ্ন।
এই পরিস্থিতিতে বৃহস্পতিবার ঢাকা শিক্ষা বোর্ডে চেয়ারম্যানের কার্যালয়ে আন্তঃশিক্ষা বোর্ডের সভায় অংশ নেন সব সাধারণ শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যানরা।
এইচএসসি পরীক্ষা নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নে ঢাকা শিক্ষা বোর্ড চেয়ারম্যান মু. জিয়াউল হক বলেন, “এই কাজটি (এইচএসসি পরীক্ষার তারিখ ঘোষণা) আমাদের করার কিছু নাই। পরীক্ষার তারিখ ঘোষণা চেয়ারম্যানদের এখতিয়ার না।”
তিনি বলেন, “বর্তমান স্বাভাবিক পরিস্থিতি না। এই পরিস্থিতিতে পরীক্ষার তারিখ ঘোষণার সুযোগ নাই।”
জেএসসি পরীক্ষার্থীদের ‘অটো প্রমোশন’ দেওয়া হবে না বলে সিদ্ধান্ত জানান ঢাকা শিক্ষা বোর্ড চেয়ারম্যান। অর্থাৎ শিক্ষার্থীদের মূল্যায়ন করেই নবম শ্রেণিতে তোলা হবে।
সেক্ষেত্রে মূল্যায়নের পদ্ধতি কী- জানতে চাইলে তিনি বলেন, “মূল্যায়ন করার জন্য সুনির্দিষ্ট কোনো পদ্ধতি এই মুহূর্তে বলতে পারছি না। সেটিও পরিস্থিতির উপর নির্ভর করবে।”
জিয়াউল হক বলেন, “মূল্যায়ন অনেক কিছুর উপর নির্ভর করবে। ক্লাসরুমে এসে মূল্যায়নের পরিস্থিতি তৈরি হয় তাহলে তাই হবে।
“যদি অনলাইনে মূল্যায়ন করতে পারে তবে অনলাইনে হবে। আর যদি অনলাইনে মূল্যায়ন করতে না পারে, তাহলে স্কুলে তো সকল শিক্ষক শিক্ষার্থীকে চিনে-জানে। কন্টিনিওয়াস যে অ্যাসেসমেন্ট আছে, তার উপর ভিত্তি করে মূল্যায়ন করবে।”
অন্যান্য শ্রেণির বিষয়ে ঢাকা বোর্ড চেয়ারম্যান বলেন, “ষষ্ঠ এবং সপ্তম শ্রেণির জন্য পরবর্তীতে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর এবং এনসিটিবি একটা নির্দেশনা দেবেন।
“আর নবম শ্রেণির ক্ষেত্রেও সেভাবে একটা মূল্যায়ন করে পরবর্তী শ্রেণিতে উত্তীর্ণ করা হবে। কারণ, নবম এবং দশম শ্রেণি মিলে একটা সিলেবাস। একটা সিলেবাসের অর্ধেক নবম শ্রেণিতে এবং পরবর্তী অংশ দশম শ্রেণিতে পাঠদান করা হয়। নবম শ্রেণিতে যে পাঠদান আছে তা দশম শ্রেণিতে পাঠদান করা হবে। আর দশম শ্রেণিতে যেটি বাকি আছে সেটি যখন আমরা স্কুল খুলব তখন শেষ করে দেব।”
একাদশ থেকে দ্বাদশ শ্রেণিতে উন্নীতের বিষয়ে তিনি বলেন, “শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের নিজস্ব পদ্ধতিতে মূল্যায়ন করে তাদের টুয়েলভ ক্লাসে তুলে দেবে।”
অনেক কলেজ পরীক্ষা ছাড়াই তুলে দিচ্ছে- এ বিষয়ে ঢাকা বোর্ড চেয়ারম্যান বলেন, “অধিকাংশেরই প্রায় সিলেবাস শেষ হয়ে গেছে। তারা অভ্যন্তরীণ পরীক্ষা শুরু করেছিল, অনেকেই পরীক্ষার দ্বরপ্রান্তে ছিল। সুতরাং তাদেরকে নিয়ে খুব একটা সমস্যা নাই।”