মাদক নিয়ন্ত্রণকে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনার আওতায় আনার সুপারিশ

মাদককে সামাজিক বিপর্যয় বিবেচনা করে তা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের কার্যক্রমের আওতায় আনার সুপারিশ করেছে সংসদীয় কমিটি।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 16 Sept 2020, 12:26 PM
Updated : 16 Sept 2020, 12:26 PM

বুধবার সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির বৈঠকে এ সুপারশি করা হয় বলে সংসদ সচিবালয় থেকে জানানো হয়েছে।

বৈঠক শেষে কমিটির সদস্য মীর মোস্তাক আহমেদ রবি সাংবাদিকদের বলেন, “কমিটির বৈঠকে বিষয়টি উত্থাপিত হয়েছে। মাদক নিরাময় কেন্দ্রে মাঝে মাঝে আমাদের মন্ত্রণালয় থেকে ত্রাণ সাহায্য দেওয়া হয়, সেই হিসেবে আলোচনা এসেছে।”

জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটের হিসেবে ২০১৯ সাল পর্যন্ত দেশে মাদকাসক্ত মানুষের সংখ্যা প্রায় ৩৬ লাখ। তবে বেসরকারি হিসাবে তা ৭০ লাখ। দেশে সরকারি মাদকাসক্তি নিরাময় কেন্দ্র আছে চারটি।

এদিকে বৈঠকে দুর্যোগকালীন উদ্ধার কার্যক্রম পরিচালনায় সহায়তাকারী স্বেচ্ছাসেবকদের সম্মানি ভাতা দেওয়ার সুপারিশ করেছে সংসদীয় কমিটি।

সংসদ সচিবালয় জানিয়েছে, স্বেচ্ছাসেবকদের কাজের উপর ভিত্তি করে সম্মানি ভাতা দেওয়ার সুপারিশ করে কমিটি।

এদিকে মন্ত্রণালয় থেকে জানানো হয়েছে, স্বেচ্ছাসেবকদের সম্মানি ভাতা দিতে হলে সে বিষয়ে অর্থ মন্ত্রণালয়ের সাথে আলোচনা করা দরকার। এ লক্ষ্যে একটি কমিটি করেছে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয়।

এক খসড়া হিসাবে মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, দুর্যোগকালীন উদ্ধার কার্যক্রমে সহায়াতকারী স্বেচ্ছাসেবকরা ঘুর্ণিঝড় প্রবণ এলকায় কাজ করে থাকেন। দক্ষিণাঞ্চলের ১৩টি জেলায় এ কাজ চলে। বছরে দুইবার করে ঘুর্ণি ধরলে ৫ দিনের হিসাবে স্বেচ্ছাসেবকদের থাকা-খাওয়া, যাতায়াত, মোবাইল ফোন খরচ ধরলে বছরে প্রায় ৩৭ কোটি এক লাখ টাকার দরকার হবে।

২০১৮ সাল থেকে প্রতি বছর ৮০-৮৪ জন স্বেচ্ছাসেবককে তাদের ভূমিকার জন্য পুরস্কৃত করা হয় বলেও জানায় মন্ত্রণালয়।

বৈঠকে অতি দরিদ্রদের জন্য কর্মসূচি বাস্তবায়ন প্রকল্পে (৪০ দিনের কর্মসূচি) ২০০ টাকার পরিবর্তে একজন শ্রমিকের দৈনিক মজুরি ন্যূনতম ৫০০ টাকা করার সুপারিশ করা হয়।

বৈঠকে নদী ভাঙনপ্রবণ এলাকায় সরকারি স্থাপনা নির্মাণের ক্ষেত্রে ‘স্টিল স্ট্রাকচার’ স্থাপনা নির্মাণের সুপরিশ করা হয়।

এছাড়া সাম্প্রতিক বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত রাস্তাগুলোর মেরামত কাজ অক্টোবর হতে আগামী ফেব্রুয়ারির মধ্যে শেষ করার তাগিদ দেওয়া হয়।

কমিটি বর্তমান দুর্যোগ মোকাবেলায় এই মন্ত্রণালয়ের বরাদ্দ বাড়ানোর জন্যও ‍সুপারিশ করে বলে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।

কমিটির সভাপতি এ বি তাজুল ইসলামের সভাপতিত্বে বৈঠকে কমিটির সদস্য দুর্যোগ ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী মো. এনামুর রহমান, মো. আফতাব উদ্দিন সরকার, মীর মোস্তাক আহমেদ রবি, জুয়েল আরেং, মজিবুর রহমান চৌধুরী ও কাজী কানিজ সুলতানা অংশ নেন।