গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, ২০২১ সালে প্রথম দফায় দেশের এসব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দুই বছর মেয়াদী প্রাক-প্রাথমিক শ্রেণি চালু হবে। এরপরের তিন থেকে চার বছরের মধ্যে পর্যায়ক্রমে দেশের সব বিদ্যালয়ে এই ব্যবস্থা চালু হবে।
দুই বছর মেয়াদী প্রাক-প্রাথমিকের পরীক্ষামূলক কার্যক্রম হিসেবে প্রাথমিকের দুই হাজার ৫৮৩টি ক্লাস্টার থেকে একটি করে বিদ্যালয় নির্বাচন করে দিতে বিভাগীয় উপ-পরিচালকদের বুধবার চিঠি দিয়েছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর।
আগামী ১৫ সেপ্টেম্বরের মধ্যে প্রতিটি ক্লাস্টার থেকে একটি করে বিদ্যালয় নির্বাচন করে সেই তথ্য ই-মেইলের পাশাপাশি হার্ডকপি আকারে অধিদপ্তরে পাঠাতে বলা হয়েছে।
নির্বাচিত বিদ্যালয়ে একটি সুনির্দিষ্ট বা স্বতন্ত্র ও সুসজ্জিত প্রাক-প্রাথমিক শ্রেণিকক্ষ এবং প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষা নিয়ে ১৫ দিনের প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত একজন শিক্ষক অবশ্যই থাকতে হবে।
“পাইলটিংয়ের জন্য নির্বাচিত বিদ্যালয়ের প্রাক-প্রাথমিকের প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত সহকারী শিক্ষক কমপক্ষে তিন বছর অর্থাৎ ২০২৩ সালের আগে কোনো অবস্থায় ওই বিদ্যালয় থেকে বদলি হতে পারবেন না।”
জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড এ বিষয়ে বিশেষজ্ঞ কারিগরি কমিটির সমন্বয়ে দুই বছর মেয়াদী প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষা পাইলটিং কার্যক্রমের জন্য অন্তবর্তীকালীন প্যাকেজ প্রণয়ন করেছে বলেও চিঠিতে জানানো হয়েছে।
২০১০ সালে স্বল্প পরিসরে প্রাক-প্রাথমিক শ্রেণি চালু করে সরকার। ২০১৪ সালে সব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এক বছরের এই শ্রেণি চালু করা হয়।
জাতীয় শিক্ষানীতিতে পর্যায়ক্রমে দুই বছর মেয়াদী প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষা চালুর কথা বলা আছে।
বর্তমানে দেশের ৬৫ হাজার ৬২০টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পাঁচ বছরের বেশি বয়সী শিশুরা প্রাক-প্রাথমিক শ্রেণিতে এক বছর পড়াশোনা করছে।
আরও পড়ুন: