রোববার ঢাকায় এক অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, “কোমলমতি শিশুদের বিদ্যালয়মুখী করার জন্য প্রাক-প্রাথমিক শ্রেণিতে বর্তমানে বিদ্যমান শিশুদের বয়স পাঁচ বছরের পরিবর্তে চার বছর করা হবে।”
সচিবকে উদ্ধৃত করে মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, “ইতোমধ্যে সরকার সকলের জন্য শিক্ষা দিতে পেরেছে, মানসম্মত শিক্ষা অর্জন করা এখন সরকারের মূল লক্ষ্য।
“এ লক্ষ্য নিশ্চিত করতে হলে দুর্নীতিমুক্ত শিক্ষাক্ষেত্র তৈরি করতে হবে। দুর্নীতিকে শূন্যের কোটায় নিয়ে আসতে হবে।”
প্রাথমিকের শিক্ষকদের বেতন বৈষম্য ‘অচিরেই’ নিরসন করা হবে জানিয়ে সচিব বলেন, শিগগরিই দীর্ঘদিনের কাঙ্ক্ষিত নতুন নিয়োগবিধি প্রণয়ন করা হবে। এ বছর আরও ২০ হাজার শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া হবে।
প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেনকে সংবর্ধনা ও মতবিনিময় অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন গণশিক্ষা সচিব।
উন্নত জাতি গঠনে মানসম্মত প্রাথমিক শিক্ষার বিকল্প নেই উল্লেখ করে গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রাথমিক শিক্ষাই হচ্ছে শিক্ষার মূলভিত্তি। বর্তমান সরকার ভবিষ্যতে মেধাসম্পন্ন মানুষ তৈরির জন্য মায়েদের অপুষ্টি দূর করতে মাতৃত্বকালীন ভাতার ব্যবস্থা করেছে।
মানসম্মত প্রাথমিক শিক্ষা নিশ্চিত করতে শিক্ষার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সব স্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সহযোগিতাও কামনা করেন নতুন গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী জাকির।
প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আবু হেনা মোস্তফা কামালের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (উন্নয়ন) মো. গিয়াস উদ্দিন আহমেদ বক্তব্য দেন।