মহাখালীর এই বিপণীবিতান তৈরি করা হয়েছিল কারওয়ানবাজারের আড়ত সরিয়ে আনতে। তবে কারওয়ানবাজারের ব্যবসায়ীরা না আসায় মার্কেটি খালিই ছিল।
দেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বাড়তে থাকার প্রেক্ষাপটে সেখানে গড়ে তোলা হয় এক হাজার শয্যার আইসোলেশন সেন্টার, যা সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধানে পরিচালিত হচ্ছে।
রোববার সেন্টারটি পরিদর্শনে গিয়ে মেয়র আতিকুল ইসলাম জানান, সাত দশমিক ১৭ একর জমিতে তৈরি এই মার্কেটের আয়তন এক লাখ ৮০ হাজার ৫৬০ বর্গফুট। তরিতরকারির পাইকারি কাঁচাবাজারের জন্য এই মার্কেট তৈরি করা হলেও তা বাস্তবায়ন করা যায়নি।
তিনি বলেন, “ঢাকা সিটি করপোরেশন ভাগ হওয়ার সময় তিনটি হাসপাতালই ডিএসসিসির ভাগে পড়েছে। ডিএনসিসি এলাকায় কোনো নগর হাসপাতাল না থাকায় এটিকে কিভাবে হাসপাতালে রূপান্তর যায় তার পরিকল্পনা করা হচ্ছে।
মিরপুরের প্যারিস মার্কেটকেও কিভাবে হাসপাতালে রূপান্তর করা যায় তাও দেখা হচ্ছে বলে জানান তিনি।
“এই দুটি ভবনকে হাসপাতালের রূপান্তর করার জন্য শিগগিরই সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে একটি প্রস্তাবনা আমরা জমা দেব।”
তিনি জানান, করোনা সেন্টারে হাসপাতালের শয্যাসহ সব ধরনের যন্ত্রপাতি আছে। ছয়তলায় ইংল্যান্ড থেকে আনা উন্নতমানের ২৫টি আইসিইউ রয়েছে।
“আমরা এটিকে অচিরেই ডিএনসিসির জন্য একটি আধুনিক মাপের হাসপাতাল করার ইচ্ছা পোষণ করছি। আমাদের কাউন্সিলররা এতে মত দিয়েছেন। আমি মনে করি এখানে হাসপাতাল হলে নগরবাসী উপকৃত হবে।”
আইসোলেশন সেন্টার পরিদর্শনের সময় এর পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. জুবায়েদুর রহমান, আর্মড ফোর্সেস ডিভিশনের মহাপরিচালক (অপারেশন ও প্ল্যানিং) এ এন এম মঞ্জুরুল হক মজুমদার, ডিএনসিসির প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোমিনুর রহমান মামুন, আঞ্চলিক কর্মকর্তা আবদুল্লাহ আল বাকী, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক মো. হাবিবুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।