দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ায় যেভাবে ছড়াচ্ছে করোনাভাইরাস

দুর্গম যোগাযোগ আর অপ্রতুল চিকিৎসা ব্যবস্থার কারণে আগে থেকেই নাকাল নোয়াখালীর দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ায় তিন মাস আগে যখন প্রথম করোনাভাইরাস সংক্রমণের খবর এল, হাটবাজার বন্ধ করে যার যার ঘুরে ঢুকে পড়লেন সবাই।

ফয়সাল আতিক নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 1 August 2020, 04:40 AM
Updated : 1 August 2020, 05:47 AM

ভাইরাস ঠেকাতে এরপর প্রশাসনের কড়াকড়ি বাড়ল, দেশে জারি হল ‘লকডাউন’। কিন্তু সেই নিয়ন্ত্রণ আর আত্মনিয়ন্ত্রণ টেকেনি এক মাসও।

আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের চোখ ফাঁকি দিয়ে শুরু হল অপ্রয়োজনীয় ঘোরাফেরা, চায়ের দোকানে গা ঘেঁষাঘেষি করে আড্ডা চললো আগের মতই।

কভিড-১৯ এর লক্ষণ-উপসর্গ দেখা যাওয়ার পরও সেটা চেপে গিয়ে স্বাভাবিক কাজকর্ম চালিয়ে গেছেন অনেকে। তবে মাস্ক পরার বিষয়টিতে এখন অভ্যস্ত হয়ে উঠেছে এ দ্বীপের মানুষ, যদিও শুরুতে অনেকেরই অনীহা ছিল।

দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত প্রথম রোগী ধরা পড়ে গত ৮ মার্চ। এর দেড় মাস পর ২৬ এপ্রিল হাতিয়ায় প্রথমবারের মতো দুজন স্বাস্থ্যকর্মীর শরীরে সংক্রমণ ধরা পড়ে।

সাত লাখ বাসিন্দার এই লোকালয়ে এখন পর্যন্ত ৬ হাজার ১৬ জনের নমুনা পরীক্ষা করে সরকারি হিসাবে ৯০ জন কোভিড-১৯ রোগী শনাক্ত হয়েছে। তাদের মধ্যে একজন ব্যাংক কর্মকর্তাকে ঢাকায় নেওয়ার পর তার মৃত্যু হয়।

তবে পরীক্ষা ব্যবস্থা অপ্রতুল হওয়ায় অনেকেই শনাক্তের বাইরে থেকে গেছেন বলে চিকিৎসকদের ধারণা।

হাতিয়া ও নোয়াখালী জেলা সদরের মধ্যে যাতায়াতের বাহন বলতে ইঞ্জিন চালিত ট্রলার, সি ট্রাক ও স্পিড বোট। এসব নৌযানে প্রতিদিন গড়ে দুই হাজার মানুষ যাতায়াত করে। আর লঞ্চে হাতিয়া থেকে ঢাকার ‍পথে যাতায়াত করে প্রতিদিন চার থেকে পাঁচশ মানুষ।

নোয়াখালী যেতে নদী পথের দূরত্ব প্রায় ২০ কিলোমিটার; সি ট্রাক বা ট্রলারে সময় লাগে দেড় থেকে দুই ঘণ্টা। তবে স্পিড বোটে লাগে ২৫ থেকে ৩০ মিনিট। তবে নদীতে ঢেউ বেশি থাকলে স্পিড বোটে যাতায়াত ঝুঁকিপূর্ণ। নাদী পথে ঢাকায় পৌঁছাতে লাগে প্রায় ১৮ ঘণ্টা। 

হাতিয়া থানার ওসি আবুল খায়ের বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, হাতিয়া দ্বীপ এলাকা হওয়ায় মহামারীর সময়ে বাইরের লোকের আসা-যাওয়া কম। প্রবেশমুখগুলোতে প্রশাসনের নজরদারি ছিল। অসুস্থ অবস্থায় কেউ দ্বীপে এলে তাদের আইসোলেশনে থাকার ব্যবস্থা হয়েছে।

তাহলে ১৯টি দ্বীপ নিয়ে গঠিত দেড় হাজার বর্গ কিলোমিটার আয়তনের এ উপজেলায় ভাইরাসের বিস্তার ঘটল কীভাবে?

চিকিৎসকরা বলছেন, মানুষের সচেতনতার অভাব, অসতর্কতা, অপ্রয়োজনীয় ঘোরাফেরা, স্বাস্থ্যবিধি মানতে অনীহা, ভাইরাস নিয়ে ভ্রান্ত ধারণা এবং উপসর্গ লুকিয়ে রাখার প্রবণতাই ঝুঁকি বাড়িয়ে তুলেছে।

নমুনা পরীক্ষায় ধীরগতি

হাতিয়ায় কভিড-১৯ এর চিকিৎসার জন্য সরকারিভাবে তৈরি করা দলটি দিনরাত পরিশ্রম করার কারণে প্রশংসিত হচ্ছেন। কিন্তু ভরা বর্ষায় নদীপথে যোগাযোগ ব্যবস্থা খারাপ হওয়ায় সপ্তাহে মাত্র দুদিন সন্দেহভাজন ব্যক্তির নমুনা সংগ্রহ করতে পারছে প্রশাসন।

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নমুনা সংগ্রহের পর জেলা সদরের মূল ভূখণ্ডে পাঠিয়ে নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের আরটি-পিসিআর ল্যাব থেকে ফলাফল আসতে ৩/৪দিন সময় লেগে যাচ্ছে।

বুধবার কারও উপসর্গ দেখা দিলে পরীক্ষার জন্য নমুনা দিতে তার শনিবার পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হচ্ছে। নমুনা জমা দেওয়ার পর ফল আসতে সময় লাগছে আরও তিন থেকে চার দিন।

এ উপজেলায় কভিড-১৯ মোকাবেলায় গঠিত দলের ফোকাল পার্সনের দায়িত্বে আছেন হাতিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক নিজাম উদ্দিন মিজান।

বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে তিনি বলেন, শনিবার ও মঙ্গলবার নমুনা সংগ্রহের পর তা নোয়াখালীতে পাঠনো হয় রবি ও বুধবার। নতুন কেউ আক্রান্ত হয়েছেন কি না তা তারা জানতে পারছেন তিন থেকে চারদিন পর। তখন ওই ব্যক্তির চলাচল সীমিত করতে উদ্যোগী হচ্ছে প্রশাসন।

ফলে নমুনা জমা দেওয়ার আগে ও পরে মিলিয়ে বেশ কয়েকদিন অবাধে ঘুরে বেড়ানোর সুযোগ থাকছে একজন আক্রান্ত ব্যক্তির।

সম্প্রতি করোনাভাইরাস থেকে সেরে ওঠা একজন নাম প্রকাশ না করার শর্তে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “আমার মেডিকেল রিপোর্ট যখন হাতে এল, ততদিন প্রায় সুস্থ হয়ে গেছি। রিপোর্ট যদি এত দেরিতে আসে, তাহলে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়া ঠেকানো কঠিন হবে, আবার গুরুতর রোগীকে সঠিক চিকিৎসা দিতেও দেরি হবে।”

উপসর্গ নিয়ে লুকোচুরি

কভিড-১৯ শনাক্ত হলে বাধ্যতামূলকভাবে নিজেকে জনবিচ্ছিন্ন (আইসোলেশন) রাখতে হয়। সমাজ ও স্বজনদের কাছ থেকেও কিছু দিন দূরে থাকতে হয়। সে কারণে উপসর্গ দেখা দেওয়ার পরও পরীক্ষা করাতে আগ্রহী হচ্ছেন না কেউ কেউ। বরং স্বাভাবিক কাজকর্ম চালিয়ে গিয়ে অন্যদের ঝুঁকি বাড়াচ্ছেন।

গত ১৫ জুলাই সাগরিয়া বাজারে গিয়ে জানা গেল, জ্বর, মাথা ব্যথাসহ বিভিন্ন উপসর্গ থাকার পরও বেচাকেনা চালিয়ে যাচ্ছেন কোনো কোনো দোকানি।

এ বাজারের একটি ফার্মেসির পরিচালক আমিরুল ইমাম সাথী বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বললেন, জ্বর, সর্দি-কাশি নিয়ে অনেকেই তার দোকানে আসছেন ওষুধ কিনতে। সাম্প্রতিক সময়ে এ ধরনের ঘটনা বেড়ে গেছে।

“বাজারের একজনের করোনাভাইরাস পজিটিভ হওয়ার একদিন পর তার আরেক আত্মীয় জ্বরে আক্রান্ত হন। কিন্তু তিনি আর পরীক্ষা না করিয়ে ফার্মেসিতে এসে ওষুধ চাইলেন। তার মুখে মাস্কও ছিল না। এরকম ঘটনা এখন প্রায়ই ঘটছে।”

নমুনা পরীক্ষাও কমেছে

হাতিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পরীক্ষা করাতে আসা মানুষের সংখ্যাও সাম্প্রতিক সময়ে কিছুটা কমে গেছে।

মে মাসের শুরুতে প্রতিবারে গড়ে ৩০ জনের নমুনা সংগ্রহ করে জেলা সদরে পাঠানো হত। এখন সেই সংখ্যা ঘোরাফেরা করছে ১০ থেকে ২০ জনের মধ্যে।

করোনাভাইরাস পরীক্ষার জন্য সরকার দুইশ টাকা ফি নির্ধারণ করে দেওয়ার কারণে কী পরীক্ষা কমেছে?

ডা. নিজাম বলছেন, “আগে কেউ সন্দেহ হলেই যেভাবে চলে আসতে, এখন কিছুটা ভেবেচিন্তে আসছেন। আমি মনে করি এখন প্রকৃত উপসর্গধারীরাই আসছেন।”

আবুল কালাম নামের একজন মৎস্য খামারি অবশ্য অন্য কথা বললেন। তার দাবি, করোনাভাইরাসের নমুনা পরীক্ষা নিয়ে একের পর এক জালিয়াতির খবরে মানুষের আস্থা কমে গেছে।

“কদিন ধরে আমার নিজেরও শুকনো কাশি হচ্ছে; জ্বরও রয়েছে। কিন্তু এই মুহূর্তে পরীক্ষা করাতে চাচ্ছি না। গরম পানিতে লেবুর রস মিশিয়ে খাচ্ছি, চা খাচ্ছি। অন্য রোগীদের কার কেমন সমস্যা হয়েছিল, কী ওষুধ খেয়েছিল সে বিষয়েও ধারণা নিচ্ছি।

“পরীক্ষা করালে আরও ঝামেলা আছে। পুলিশ বাড়িঘর লকডাউন করে, আশপাশের মানুষজন নানারকম সত্যমিথ্যা গুজব ছড়ায়।”

মানা হচ্ছে না স্বাস্থ্যবিধি

এপ্রিলের শেষ দিকে হাতিয়ায় কভিড-১৯ রোগী শনাক্ত হওয়ার পর সব হাটবাজার ও গ্রামের দোকানগুলো বন্ধ করে দেয় উপজেলা প্রশাসন। তখন মানুষ ঘরে থাকলেও কিছুদিনের মধ্যেই আবার বের হতে শুরু করে। দোকানপাটও খুলে যায়, বসতে শুরু করে সপ্তাহিক হাট। সংক্রমণ বাড়তে থাকলেও বাজারে জনসমাগম চলে সাধারণ সময়ের মত।

মানুষকে সচেতন করতে না পেরে বেশ কয়েকজনকে জরিমানাও করেছে প্রশাসন। তবুও দোকানে দোকানে আড্ডা না কমে বরং বেড়েছে।

পরীক্ষায় কারও কভিড-১৯ শনাক্ত হলে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও থানা পুলিশের একটি দল গিয়ে তার বাড়ি অবরুদ্ধ করছে। আক্রান্তকে আইসোলেশনে থাকতে বলছে। কিন্তু কেউ কেউ সেই বিধিনিষেধ মানছেন না বলে জানালেন উপজেলা করোনাভাইরাস নিয়ন্ত্রণ দলের ফোকাল পার্সন নিজাম উদ্দিন।

“অনেকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে আইসোলেশনে থাকছেন। কিন্তু কিছু কিছু ক্ষেত্রে তা একেবারেই হচ্ছে না।”

একটি ঘটনার বিবরণ দিয়ে তিনি বলেন, কভিড-১৯ পরীক্ষা করাতে আসা এক ব্যক্তির উপসর্গ দেখে সন্দেহ হওয়ায় তাকে বাড়ি গিয়ে আইসোলেশনে থাকার পরমর্শ দেওয়া হয়েছিল। রিপোর্ট আসার পর দেখা গেল তিনি করোনাভাইরাস ‘পজিটিভ’।

“রিপোর্ট হাতে পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ওই ব্যক্তিকে আরও সতর্ক হওয়ার জন্য ফোন করলাম। ওইপাশ থেকে তিনি জানালেন, তার শরীরে কোনো সমস্যা এখন নেই। তিনি পুকুরে গোসল করে জুমার নামাজে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। এ ধরনের ঘটনা দ্বীপে প্রায়ই ঘটছে।”

হাতিয়া থানার ওসি আবুল খায়ের বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “দেশের অন্য অঞ্চল থেকে এখানকার পরিস্থিতি একটু ভিন্ন। অধিকাংশ মানুষ মাছ ধরা ও কৃষি কাজে যুক্ত। তাই তাদের স্বাস্থ্যবিধি মানানো কঠিন।”

তবে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ রেজাউল করিম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, শুরুর দিকে মানুষজনকে স্বাস্থ্যবিধি মানাতে বেশ বেগ পেতে হলেও এখন পরিস্থিতি ‘কিছুটা নিয়ন্ত্রণে’। হাটবাজারগুলোতে বিকাল ৪টা পর্যন্ত দোকানপাট চালু রাখার অনুমতি দেওয়া হয়েছে।

“মে-জুন মাসে সংক্রমণ কিছুটা সহনশীল মাত্রায় ছিল, জুলাই মাসে বেড়ে গেছে। তবে জুলাইয়ের শেষ দিকে তা আবার কমে এসেছে। এখন ঈদের পর পরিস্থিতি কোন পর্যায়ে গিয়ে দাঁড়ায় সেটাই চিন্তার বিষয়।”

হাসপাতালের প্রস্তুতি কতটা?

এপ্রিলের শেষ দিকে যখন হাতিয়ায় প্রথম সংক্রমণ ধরা পড়ে তখন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের প্রস্তুতি ছিল খুবই কম। শ্বাসকষ্টের রোগীদের জন্য অতি জরুরি অক্সিজেনের যোগানও সেখানে ছিল না।

তবে সম্প্রতি পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হয়েছে। জুলাইয়ের ২০ তারিখে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ২০ শয্যার কভিড-১৯ আইসোলেশন ওয়ার্ড চালু করা হয়েছে।

নিজাম উদ্দিন বলেন, “বিচ্ছিন্ন দ্বীপ থেকে সঙ্কটাপন্ন একজন রোগীকে উন্নত চিকিৎসার জন্য নেওয়া বেশ কঠিন। রাতের বেলা যোগাযোগ ব্যবস্থা প্রায় বিচ্ছিন্ন থাকে। আর দিনের বেলা যখন তখন নদী পার হওয়া যায় না। সেই বিবেচনায় এখানে আইসিইউসহ অন্যান্য চিকিৎসা সরঞ্জাম রাখা প্রয়োজন হলেও তা নেই। দেশের বাস্তবতা বিবেচনায় এ ধরনের হাসপাতালে এর চেয়ে বেশি কিছু থাকেও না।”

সরঞ্জাম সঙ্কটের প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, এপ্রিলে একজন স্বাস্থ্যকর্মীর করোনাভাইরাস ধরা পড়ার পর তাকে আড়াই দিন অক্সিজেন সাপোর্ট দিতে হয়েছিল। তাতে প্রায় ৮টি ছোট অক্সিজেন সিলিন্ডার (পাঁচ হাজার লিটার) খালি হয়ে যায়। ওই সময় হাসপাতালে বাকি ছিল মাত্র একটি সিলিন্ডার। তখন তাড়াতাড়ি ওই রোগীকে নোয়াখালীতে স্থানান্তর করা হয়।

নতুন করে আইসোলেশন ওয়ার্ড চালুর সময় ৯.৬ কিউবিক মিটারের (ধারণ ক্ষমতা ১০ হাজার লিটার) ১০টি সিলিন্ডার বসানো হয়েছে। বসানো হয়েছে দুটি অক্সিজেন কনসেনট্রেটর (১০ হাজার লিটার/মিনিট)। সাবেক সংসদ সদস্য মোহাম্মদ আলী ও স্থানীয় সেচ্ছাসেবী সংগঠনগুলোর অনুদান হিসাবে হাসাপাতাল এই সরঞ্জামগুলো পেয়েছে। তাতে অক্সিজেন সাপোর্ট সক্ষমতা আগের চেয়ে কিছুটা বেড়েছে।

চিকিৎসকরা জানান, অক্সিজেন সিলিন্ডারগুলো রিফিল করতে পাঠালেও ১৫/২০ দিন সময় লেগে যায়। অনেক সময় অক্সিজেন সিলিন্ডারের সঙ্কট থাকে। ফলে ঝুঁকি না নিয়ে শ্বাসকষ্টের রোগীদের নোয়াখালীতে পাঠিয়ে দিতে হয়।

নিজাম উদ্দিন বলেন, “এখানে নার্সেরও তীব্র সঙ্কট। হাসপাতালে ৫ জন নার্স রয়েছেন। তারা সাধারণ ডিউটি করার পর আইসোলেশন ওয়ার্ডে দায়িত্ব পালন করার মত কেউ থাকে না।”

হাতিয়ায় এ পর্যন্ত সরকারি হিসাবে ৯০ জনের করোনাভাইরাস শনাক্ত হলেও হাসপাতালে এসে চিকিৎসা নিয়েছেন ১৫ থেকে ২০ জন। তাদের অধিকাংশই মাঝারি মানের শ্বাসকষ্টে ভুগছিলেন বলে জানান কভিড-১৯ আইসোলেশন ইউনিটে দায়িত্বে থাকা চিকিৎসক সৌরভ নাথ শুভ।

তিনি বলেন, “গত দুই সপ্তাহে হাতিয়ায় নতুন রোগীর সংখ্যা কিছুটা কম। কিন্তু কোরবানির ঈদকে কেন্দ্র করে ঢাকা থেকে প্রচুর মানুষ ফিরছে। তাতে সংক্রমণের নতুন ঝুঁকি তৈরি হচ্ছে।”

আরও পড়ুন