স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়মিত বুলেটিনে যুক্ত হয়ে অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক নাসিমা সুলতানা শুক্রবার দেশে করোনাভাইরাসের সর্বশেষ পরিস্থিতি জানিয়ে এই তথ্য তুলে ধরেন।
অন্যদিকে ৫৩২টি আইসিইউ শয্যার মধ্যে ৩০৬টিতে রোগী ভর্তি থাকলেও ২২৬টি আইসিইউ শয্যা খালি রয়েছে।
সাধারণ ও আইসিইউ মিলে ১১ হাজার ৭৮টি শয্যা খালি রয়েছে।
অধ্যাপক নাসিমা সুলতানা জানান, ঢাকা নগরীর হাসপাতালগুলোর সাধারণ শয্যায় ২ হাজার ১০৩ জন রোগী ভর্তি আছেন। আর আইসিইউতে আছেন ১৮৪ জন রোগী।
আর চট্টগ্রামে নগরীতে সাধারণ শয্যায় ২৮৮ জন এবং আইসিইউতে ২২ জন রোগী ভর্তি আছেন। এছাড়া দেশের অন্যান্য হাসপাতালে সাধারণ শয্যায় এক হাজার ৮৮৮ জন ও আইসিইউতে ১০০ জন রোগী ভর্তি আছেন।
বসুন্ধরায় শয্যা ২০১৩, রোগী মাত্র ১৫ জন
নিয়মিত করোনাভাইরাস সংক্রমণ বাড়তে থাকায় এই রোগের চিকিৎসায় সরকারি-বেসরকারি হাসপাতাল নির্ধারণের পাশাপাশি দ্রুততার সঙ্গেও কিছু চিকিৎসা কেন্দ্র গড়ে তোলা হয়। তার একটি ঢাকার কুড়িলে বসুন্ধরা কোভিড-১৯ হাসপাতাল।
বিশেষ উদ্যোগে তৈরি করা এই হাসপাতালে দুই হাজার ১৩টি শয্যা থাকলেও সেখানে রোগী ভর্তি আছেন মাত্র ১৫ জন। এই হাসপাতালের এক হাজার ৯৯৮টি শয্যা খালি পড়ে আছে। হাসপাতালটিতে আইসিইউর ব্যবস্থা রাখা হয়নি।
এছাড়া কমলাপুর রেলওয়ে হাসপাতাল ও মহাখালীর সংক্রামক ব্যাধি হাসপাতালে করোনাভাইরাসের কোনো রোগী ভর্তি নেই। এই দুটি হাসপাতালে ৪০টি সাধারণ শয্যা রয়েছে।
শুক্রবার নতুন করে দেশে করোনাভাইরাসে আরও ৩৫ জনের মৃত্যু হয়েছে, নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছে ২ হাজার ৫৪৮ জন।
নতুন ৩৫ জনকে নিয়ে দেশে কোভিড-১৯ রোগে মোট মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ৮৩৬ জন। শনাক্ত রোগীর সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ২ লাখ ১৮ হাজার ৬৫৮ জন।