তিনি পলাতক রিজেন্ট গ্রুপের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সাহেদের সহযোগী বলে জানিয়েছে র্যাব।
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় গাজীপুরে কাপাসিয়া থেকে মাসুদকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক আশিক বিল্লাহ জানিয়েছেন।
তিনি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “মাসুদকে তার এক আত্মীয়ের বাসা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। সাহেদের প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ছাড়াও তার (সাহেদ) প্রতারণা কাজের অন্যতম সহযোগী সে।”
করোনাভাইরাস পরীক্ষা না করেই ভুয়া সনদ দেওয়াসহ নানা অনিয়মের অভিযোগে গত ৬ জুলাই রিজেন্ট হাসপাতালে অভিযান চালায় র্যাব। তখন আটজনকে গ্রেপ্তার করা হলেও সেদিন থেকে পলাতক রিজেন্ট গ্রুপের চেয়ারম্যান সাহেদ।
সাহেদকে গ্রেপ্তারের কতদূর- জানতে চাইলে আশিক বিল্লাহ বলেন, “ঢাকা শহরের পাশাপাশি সারাদেশে র্যাবের নজরদারি বৃদ্ধি করা হয়েছে এবং সীমান্ত জেলাগুলোতে টহল বাড়ানো হয়েছে।”
রিজেন্ট হাসপাতালের বিরুদ্ধে অনিয়মের ও প্রতারণার অভিযোগ ১৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে র্যাব।
তাতে বলা হয়েছে, “এই হাসপাতালের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সাহেদ নিজেকে ক্লিন ইমেজের ব্যক্তি বলে দাবি করলেও প্রকৃতপক্ষে সে একজন ধুরন্ধর, অর্থলিপ্সু ও পাষণ্ড।”
র্যাবের এই মামলায় মাসুদ (৪০) ও আসামি।
মামলার তদন্তে ডিবি
রিজেন্ট গ্রুপের বিরুদ্ধে কোভিড-১৯ পরীক্ষার প্রতিবেদন নিয়ে প্রতারণার অভিযোগে র্যাবের করা মামলাটি তদন্তের জন্য গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
ডিবির ঢাকা মহানগর উত্তরা বিভাগের উপকমিশনার নাবিদ কামাল শৈবাল বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, মামলাটি মঙ্গলবার বিকালে তারা পেয়েছেন।
কোভিড-১৯ রোগীদের ভুয়া রিপোর্ট দিয়ে প্রতারণা, বিশ্বাসভঙ্গ, জাল জালিয়াতি, ভুযা রিপোর্টকে খাঁটি বলে চালিয়ে দেওয়া এবং কোভিড-১৯ সংক্রমণ বিস্তারে ভূমিকা রাখার অভিযোগে র্যাব-১ এর পরিদর্শক জুলহাস মিয়া এই মামলা করেন।
গত ৬ এবং ৭ জুলাই উত্তরার রিজেন্ট হাসপাতাল এবং রিজেন্ট গ্রুপের প্রধান দপ্তরে র্যাবের নির্বাহী হাকিম সারোয়ার আলম অভিযান চালিয়ে এসব জালিয়াতির ঘটনার প্রমাণ পান বলে মামলায় বলা হয়েছে।
গত ৭ জুলাই করা এই মামলায় সাহেদসহ ১৭ জনকে আসামি করলেও ১০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।