সিআইডির অর্গানাইজড ক্রাইম বিভাগের ডিআইজি ইমতিয়াজ আহমেদ বলেন, সোমবার ভোরে লালবাগ থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে তিনি বলেন, “ক্যাসিনোকাণ্ডে জড়িত দুই ভাই এনামুল হক এনু ও রুপন ভূঁইয়ার ১৬৪ জবানবন্দিতে জয় গোপালের নাম উঠে এসেছে।
“জয় গোপালকেও এনু-রুপনের বিরুদ্ধে মানি ল্যান্ডারিং আইনে করা মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে উঠানো হবে।”
ওয়ার্ডারার্স ক্লাবের ক্যাসিনো বাণিজ্যে জয় গোপালের সরাসরি জড়িত হওয়ার প্রমাণ পাওয়া গেছে বলে জানান তিনি।
এদিকে সিআইডির এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, জয় গোপাল ওয়ান্ডারার্স ক্লাবের একজন ফুটবলার ছিলে। অবসরে গিয়ে পরিচালনা পর্ষদের সদস্য, পরে ক্যাশিয়ারের দায়িত্ব পালন করেন।
২০১৪ সালে ক্লাবটির সাধারণ সম্পাদক হয়ে এনু-রুপনের সঙ্গে সখ্যতা গড়ে তোলেন এবং ক্লাবে ক্যাসিনো পরিচালনায় প্রত্যক্ষ সহযোগিতা করে।
এক সপ্তাহের মধ্যে এনু ও রুপনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেওয়া হবে জানিয়ে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, তদন্তে তাদের ৯১টি ব্যাংক হিসাবের তথ্য পাওয়া গেছে, ওইসব ব্যাংক হিসাবে জমা হয়েছে ২০৮ কোটি ৪৪ লাখ ১১ হাজার ৬৫০ টাকা আর উত্তোলন করা হয়েছে ২০৫ কোটি ৮৪ লাখ ৮১ হাজার ৮৪ টাকা।
এছাড়া তাদের ২০টি বাড়ি ও জমি ছাড়াও মোট ১২৮টি ফ্ল্যাটের সন্ধান পাওয়া গেছে বলে সিআইডির সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়ে।
গত ১৩ জানুয়ারি কেরানীগঞ্জের একটি ভবন থেকে এক সহযোগীসহ দুই ভাই এনু ও রুপনকে গ্রেপ্তার করেছিল সিআইডি।