মাস্ক, পিপিই কেনায় দুর্নীতির অনুসন্ধানে নেমেছে দুদক

করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের মধ্যে মাস্ক কেলেংকারি এবং অন্যান্য স্বাস্থ্য সুরক্ষা সামগ্রী কেনায় দুর্নীতির অভিযোগ অনুসন্ধানে মাঠে নেমেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 17 June 2020, 12:13 PM
Updated : 17 June 2020, 12:13 PM

দুদকের গোয়েন্দা বিভাগের পরিচালক মীর মো. জয়নুল আবেদীন শিবলীর নেতৃত্বে গঠিত চার সদস্যের একটি দলকে এ দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে বলে কমিশনের জনসংযোগ কর্মকর্তা (পরিচালক) প্রণব কুমার ভট্টাচার্য্য জানিয়েছেন।

অনুসন্ধান দলের অন্য সদস্যরা হলেন- দুদকের উপ-পরিচালক নুরুল হুদা, সহকারী পরিচালক মো. সাইদুজ্জামান ও আতাউর রহমান।

প্রণব বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, সম্প্রতি এন-৯৫ মাস্ক ও অন্যান্য স্বাস্থ্য সুরক্ষাসামগ্রী কেনাকাটায় দুর্নীতির অভিযোগ অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত দিয়েছে কমিশন।

তিনি বলেন, “সোমবার কমিশন থেকে চার সদস্যদের একটি শক্তিশালী টিম গঠন করে দেওয়া হয়েছে। এই টিমের সদস্যদের যথাসময়ে অনুসন্ধান করে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।”

এর আগে গত ৫ জুন দুদকের চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ সাংবাদিকদের বলেছিলেন, এন-৯৫ মাস্ক ও অন্যান্য সুরক্ষা সামগ্রী কেনাকাটায় অনিয়ম-দুর্নীতি কিংবা জাল-জালিয়াতির ঘটনা ঘটলে দুদক আইনি ব্যবস্থা নেবে।

এজন্য কমিশনের গোয়েন্দা ইউনিটকে এ বিষয়ে সংবাদপত্রে প্রকাশিত খবরসহ অন্যান্য মাধ্যমে থেকে তথ্য সংগ্রহের নির্দেশ দেয়ার কথা তখনই জানিয়েছিলেন দুদক চেয়ারম্যান।

এরপর ১০ জুন এক জরুরি বৈঠকে এন-৯৫ মাস্ক, পিপিইসহ বিভিন্ন স্বাস্থ্য সুরক্ষা সামগ্রী কেনাকাটায় অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নেয় দুদক।

বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসক ও অন্যান্য স্বাস্থ্যকর্মীদের মধ্যে সাধারণ ও নিম্নমানের মাস্ক দেওয়ার অভিযোগে গত ২১ এপ্রিল একটি তদন্ত কমিটি করে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়।

তবে কয়েকবার সময় বাড়ালেও এই কমিটির তদন্ত প্রতিবেদন এখনও প্রকাশ করা হয়নি।

রাজধানীর মুগদা জেনারেল হাসপাতাল, মহানগর জেনারেল হাসপাতালে এন-৯৫ মাস্কের মোড়কে সাধারণ মাস্ক দেওয়ার ঘটনায় তোপের মুখে পড়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ও কেন্দ্রীয় ঔষধাগার।

রাজধানীর হাসপাতালগুলোতেও ভুল মাস্ক সরবরাহে নাম আসে জেএমআই হসপিটাল রিকুইজিট ম্যানফ্যাকচারিংয়ের।

কেন্দ্রীয় ঔষধাগারে সরবরাহ করা ২০ হাজার ৬০০টি ‘ভুল’ মাস্ক ফেরত নিয়ে এ দায় থেকে মুক্তি চাইছে কোম্পানিটি।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পিপিই নীতিমালা অনুযায়ী, কোভিড-১৯ রোগীর নমুনা পরীক্ষা ও চিকিৎসার জন্য এন-৯৫ মাস্ক পরা জরুরি। কিন্তু মার্চের শেষ ভাগে কেন্দ্রীয় ঔষধাগার থেকে বিভিন্ন হাসপাতালে যেসব মাস্ক পাঠানো হয়, তার প্যাকেটে ‘এন-৯৫’ লেখা থাকলেও ভেতরে ছিল সাধারণ সার্জিক্যাল মাস্ক।

ফলে সেগুলো আসল মাস্ক কিনা তা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেন চিকিৎসকরা; বিষয়টি সে সময় সংবাদ মাধ্যমেও আসে।