এরা হলেন- মিজুয়ান মিয়া (২৯), শেখ লিটন (৩৮), আবদুল মজিদ (৩৩) ও রফিক হাওলাদার (৪২)।
রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে আগের রাতে তাদের গ্রেপ্তার করা হয় বলে রোববার ডিএমপি অতিরিক্ত উপ-কমিশনার শাহিদুর রহমান জানিয়েছেন।
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে তিনি বলেন, “ছিনতাই কাজে ব্যবহৃত দুটি প্রাইভেটকার, এক রাউন্ড গুলিসহ একটি আগ্নেয়াস্ত্র ও দুটি ছুরি তাদের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়।
“প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা ছিনতাইয়ের ওই ঘটনায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে। চক্রের হোতা মান্নান ওরফে মনাকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।”
গ্রেপ্তার চারজনকে পরে ঢাকার আদালতে হাজির করে তাদের হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের আবেদন জানান মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবির পরিদর্শক মো. আরিফ।
শুনানি শেষে তিন মামলায় বিভিন্ন মেয়াদে তাদের রিমান্ডের আদেশ দেন মহানগর হাকিম জিয়াউর রহমান।
হত্যা মামলায় রফিকের একদিন, লিটন ও মজিদের তিন দিন করে রিমান্ডের আদেশ হয়েছে।
ছিনতাই মামলায় লিটন, মিজুয়ান ও মজিদের একদিন এবং অস্ত্র মামলায় তিনজনের দুই দিন করে রিমান্ডের আদেশ হয়।
২৯ ফেব্রুয়ারি শনিবার ভোরে মুগদা স্টেডিয়ামের সামনে রিকশায় থাকা তারিনা বেগম লিপির (৩৮) হাত ব্যাগে গাড়িতে করে আসা ছিনতাইকারীরা টান দিলে তিনি পড়ে গিয়ে মাথায় আঘাত পান। পড়ে হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়।