মঙ্গলবার দুপুরে গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার পাথালিয়া এলাকায় সড়ক দুর্ঘটনায় সৈয়দা ফাহিমা বেগম (৪৮) নামে ওই নারী শিক্ষকের একটি হাত বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে।
এরপর চিকিৎসার জন্য হেলিকপ্টারে করে বিকালে তাকে আনা হয় ঢাকার শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে; সেখানেই তার অস্ত্রোপচার হয়।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক ডা. পার্থ শংকর পাল রাত সাড়ে ১১টার পর বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “প্রায় পৌনে ৭ ঘণ্টার অস্ত্রোপচারে বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়া হাত জোড়া লাগানো হয়েছে।”
অস্ত্রোপচার সফল হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, “তাকে এখন আইসিইউতে রাখা হয়েছে। আমরা থেকে অবজারভেশনে রেখেছি। ৭২ ঘণ্টা না গেলে কিছু বলা যাবে না।”
শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনিস্টিউটের প্রধান অধ্যাপক আবুল কালামের নেতৃত্বে অর্থোপেডিক, প্লাস্টিক সার্জারি বিভাগের সার্জনসহ কয়েকটি বিভাগের চিকিৎসকরা এই অস্ত্রোপচারে ছিলেন।
ফাহিমার বাঁ হাত কনুই থেকে বিচ্ছিন্ন হওয়া ছাড়াও মাথাসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে জখম ছিল।
দুপুরের ওই দুর্ঘটনায় উইলস লিটল ফ্লাওয়ার স্কুল ও কলেজের আরও অন্তত ১৪ শিক্ষার্থী আহত হন। তাদের মধ্যে নয়জন এখনও গোপালগঞ্জ সদর হাসপাতালে ভর্তি আছেন।
ওই কলেজের শিক্ষক গাজী আবুল বাশার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে শ্রদ্ধা জানাতে মঙ্গলবার সকালে তারা ঢাকা থেকে যাত্রা করেন। চারটি মিনিবাস ও দুটি মাইক্রোবাসে মোট ১২৫ জন শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও কর্মচারী ছিলেন।
“বেলা ১টার দিকে একটি বাস রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে থাকা ট্রাকে পেছন থেকে ধাক্কা দেয়। এতে বাসের সামনের অংশ দুমড়ে-মুচড়ে গেলে সৈয়দ ফাহিমা বেগম নামে শিক্ষিকার একটি হাত বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।”
ওই শিক্ষকের স্বামীর নাম সৈয়দ শফিকুল ইসলাম। ঢাকার শান্তিনগর এলাকায় তাদের বাসা। তাদের গ্রামের বাড়ি কুড়িগ্রাম সদর উপজেলায়।