এছাড়া মঙ্গলবার দুপুরের এ দুর্ঘটনায় ১৪ শিক্ষার্থী আহত হয়েছে বলেও জানিয়েছেন গোপালগঞ্জ থানার ওসি মো. মনিরুল ইসলাম।
হাত বিচ্ছিন্ন হওয়া শিক্ষিকা সৈয়দা ফাহিমা বেগমকে (৫০) প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে হেলিকপ্টারে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।
আহতদের মধ্যে শিক্ষার্থী আব্দুল রহমান, আবু নাফিম চৌধুরী, শয়নসহ নয়জনকে গোপালগঞ্জ সদর হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
বেলা ১টার দিকে একটি বাস গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার পাথালিয়া এলাকায় দুর্ঘটনায় পড়ে।
আবুল বাশার বলেন, “বাসটি রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে থাকা ট্রাকে পেছন থেকে ধাক্কা দেয়। এতে বাসের সামনের অংশ দুমড়ে-মুচড়ে গেলে শিক্ষিকা সৈয়দা ফাহিমা বেগমের একটি হাত বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।”
আবুল বাশার দুর্ঘটনায় পড়া বাসের পেছনের বাসে ছিলেন বলে তিনি জানান।
হাসপাতালের সহকারী পরিচালক অসিত কুমার মল্লিক বলেন, দুর্ঘটনার পর ১৫ জনকে তাদের হাসপাতালে আনা হয়। তাদের মধ্যে শিক্ষিকা ফাহমিদার একটি হাত কনুই থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে হেলিকপ্টারে করে ঢাকা পাঠানো হয়েছে।
এছাড়া আহত নয় শিক্ষার্থীকে ওই হাসপাতালে ভর্তি করে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে এবং আহত অন্য শিক্ষার্থীরা প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছে বলে জানান অসিত কুমার।
দুর্ঘটনার খবর পেয়ে গোপালগঞ্জে জেলা প্রশাসক শাহিদা সুলতানা, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মো. ইলিয়াছুর রহমান, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সাদিকুর রহমান খানসহ প্রশাসেনের পদস্থ কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে ছুটে যান।