‘সাম্প্রদায়িক’ মোদীকে এনে মুজিববর্ষের অনুষ্ঠান ‘কলঙ্কিত’ না করতে আওয়ামী লীগ সরকারের প্রতি আহ্বানও জানিয়েছেন তিনি।
জাতির পিতার জন্ম শতবার্ষিকী সাড়ম্বরে উদযাপন করবে বাংলাদেশ; বছরব্যাপী এই অনুষ্ঠানমালা শুরু হবে আগামী ১৭ মার্চ।
মুজিববর্ষের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রনেতাদের আমন্ত্রণ জানানো হবে। এর মধ্যে প্রতিবেশী ভারতের প্রধানমন্ত্রী মোদীও থাকবেন বলে খবর ছড়িয়েছে, যদিও কোনো আনুষ্ঠানিক ঘোষণা এখনও আসেনি।
ভারতে নাগরিকত্ব আইন সংশোধনের প্রতিবাদকারীদের উপর হামলার প্রতিবাদে বুধবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদ যে বিক্ষোভ সমাবেশ করে, সেখানে বক্তব্যে মোদীকে প্রতিরোধের ঘোষণা দেন নুর।
তিনি বলেন, “জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কোনো রাজনৈতিক দলের নেতা নন। তিনি বাংলার সব শ্রেণি-পেশার মানুষের নেতা। তিনি বিশ্বের মুক্তিকামী মানুষের নেতা।
“তার জন্মদিনে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গাবাজ মোদী আসতে পারেন না। আর কখনও যদি মোদী আসেন, তাহলে সাধারণ ছাত্ররা নিজের রক্ত দিয়ে তা প্রতিহত করবে। মোদীর মতো একজন সাম্প্রদায়িক ব্যক্তিকে বঙ্গবন্ধুর জন্ম শতবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে এনে কলঙ্কিত করতে দেব না।”
বিজেপি নেতা মোদীর অতীত ইতিহাস তুলে ধরে নূর বলেন, “মোদীর হাতে মুসলিমদের রক্ত লেগে আছে। তার হাতে গণমানুষের রক্ত লেগে আছে। মোদী ২০০২ সালে গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী থাকাকালে একটি সামান্য ঘটনা নিয়ে শুধু রাজনৈতিক ফায়দা লুটতে মুসলিম-হিন্দু সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা ঘটিয়েছিলেন।
মোদীর মতো ব্যক্তিকে মুজিববর্ষের কর্মসূচিতে যুক্ত করা হলে বঙ্গবন্ধুকে অপমান করা হবে বলে মন্তব্য করেন ডাকসু ভিপি।
সরকারের উদ্দেশে তিনি বলেন, “ভারতের সাবেক রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখার্জিকে দাওয়াত করা হয়েছে। আমরা তার মতো একজন অসাম্প্রদায়িক ব্যক্তিকে স্যালুট জানাই। নোবেল বিজয়ী আরও অনেককে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। এমন অসাম্প্রদায়িক এবং প্রগতিশীল ব্যক্তিদের আমরা স্বাগত জানাব।”
সমাবেশে পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক রাশেদ খান বলেন, “আজ ভারতে মুসলমানরা নির্যাতিত হচ্ছে। আমরা বলতে চাই, ভারত আমাদের বন্ধু রাষ্ট্র, কিন্তু মোদী আমাদের বন্ধু নয়। ভারতে মোদী সরকার যে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা শুরু করেছে, তা এ বাংলার ছাত্র সমাজ মেনে নেবে না।”
সমাবেশ শেষে ক্যাম্পাসে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করে ছাত্র অধিকার পরিষদ।
সমাবেশ ও মিছিলে উপস্থিত ছিলেন পরিষদের আহ্বায়ক হাসান আল মামুন, ডাকসুর সমাজসেবা সম্পাদক আখতার হোসেন, পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক ফারুক হাসান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি বিন ইয়ামিন মোল্লা প্রমুখ।