আদালত অবমাননার আইনের সঙ্গে সাংঘর্ষিক হওয়ার যুক্তি দেখিয়ে করা রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে রোববার বিচারপতি তারিক উল হাকিম ও বিচারপতি মো. ইকবাল কবিরের বেঞ্চ এ রুল দেয়।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব, জাতীয় সংসদের স্পিকার, রাষ্ট্রপতি কার্যালয়ের সচিব, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব, জনপ্রশাসন সচিব, লেজিসেলেটিভ সচিব, সংসদ সচিবকে চার সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশের (এইচআরপিবি) পক্ষে সংগঠনটির সভাপতি আইনজীবী মনজিল মোরসেদ ৯ ফেব্রুয়ারি জনস্বার্থে হাই কোর্টে আবেদনটি করেন।
আদালত রুল জারির পর সাংবাদিকদের তিনি বলেন, সরকারি চাকরি আইন অনুযায়ী, কোনো সরকারি কর্মকর্তার একবছরের বেশি সাজা হলে তার চাকরি যাবে। তার মানে এক বছরের কম সাজা হলে চাকরি যাবে না।
“কিন্তু আদালত অবমাননার আইনে বলা আছে, ছয় মাস সাজা হলে চাকরি যাবে। ফলে আদালত অবমাননা আইনের সঙ্গে এটা সাংঘর্ষিক। শুনানির পর আদালত রুল জারি করেছেন।”
২০১৮ সালের সরকারি চাকরি আইনের ৪২(১) ও (২) ধারা অনুযায়ী, ফৌজদারি মামলায় মৃত্যুদণ্ড বা ১ (এক) বছরের বেশি কারাদণ্ড হলে রায়ের দিনে থেকে সরকারি চাকুরে তাৎক্ষণিকভাবে বরখাস্ত হবেন। একবছরের কম যে কোনো ধরনের দণ্ডের ক্ষেত্রে তিরস্কারমূলক পদক্ষেপ নেওয়া ও ক্ষতিপূরণ আদায় করা যাবে।