মঙ্গলবার দুপুরে ক্র্যাব কার্যালয়ের সামনে মানববন্ধনে সংঠনের নেতাকর্মী সদস্যসহ অন্যান্য সাংবাদিকরাও অংশ নেন।
গত ২০ জানুয়ারি পরীবাগ এলাকায় বাংলা ট্রিবিউনের ক্রাইম রিপোর্টার শেখ জাহাঙ্গীর আলম ও আলোকিত বাংলাদেশের স্টাফ রিপোর্টার সাজ্জাদ মাহমুদ খানকে পুলিশের এক কর্মকর্তা মোটর সাইকেল দিয়ে চাপা দেওয়ার পাশাপাশ অসৌজন্যমূলক আচরণ এবং মেরে ফেলার হুমকি দেন। এর কয়েকদিন আগে বাংলানিউজের সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট আসাদুজ্জামান শিমুলকে রড দিয়ে পেটায় সন্ত্রাসীরা। এই দুই ঘটনার প্রতিবাদে বিক্ষোভ করে ক্র্যাব।
দুই সাংবাদিককে মারধরের বিষয়ে ক্র্যাবের সভাপতি আবুল খায়ের বলেন, “পুলিশের কাজ জনগণের সেবা করা। অথচ এক পুলিশ কর্মকর্তা উল্টোপথে এসে দুই সাংবাদিককে চাপা দেয়, প্রতিবাদ করলে তাকে গালমন্দ করে, মেরে চলে যায়, এই হল পুলিশের আচরণ।
“তাদের আচরণ দেখে আমি অবাক। যে মোটরসাইকেল দিয়ে চাপা দিয়েছে সেটির নম্বর প্লেটও ভুয়া, এটা আরও বড় ধরনের ক্রাইম। আমরা এ বিষয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সাথে কথা বলেছি। তিনি এই ঘটনাটির জন্য একজনকে অ্যাসাইন করেছেন বলে জানিয়েছেন।”
তিনি বলেন, “আমি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের আহ্বান জানাব যেন এইসব সন্ত্রাসীদের মত আচরণকারী পুলিশ সদস্যদের চিহ্নিত করে বাহিনী থেকে বের করে দেওয়া হয়।”
প্রতিবাদ সমাবেশে ক্র্যাবের সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান বিকু, যুগ্ম সম্পাদক সাখাওয়াত কাওসার, ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি রফিকুল ইসলাম আজাদ, ক্র্যাবের সাবেক সভাপতি আবু সালেহ আকন, সাবেক সাধারণ সম্পাদক দীপু সারোয়ারসহ অনেকেই উপস্থিত ছিলেন।