জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশ হেফাজতে নিতে বৃহস্পতিবার শ্যাওলা রঙের জ্যাকেট ও নীল জিন্স প্যান্ট পরা কৃশকায় এ যুবককে ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে নেওয়া হয়।
বিকাল ৩টার একটু আগে তাকে মহানগর হাকিম মো. সরাফুজ্জামান আনছারীর এজলাসে তোলা হয়। কাঠগড়ায় দাঁড়িয়েই মজনু বিচারকের ডায়াসের দিক থেকে মুখ ঘুরিয়ে দেয়ালের দিকে তাকিয়ে থাকেন। এসময় তিনি তার ডান পা কাঁপাচ্ছিলেন।
এক পর্যায়ে তিনি কাঠগড়ায় বসে পড়েন। হাতকড়া পড়া মজনু বসেই মুখ নামিয়ে মেঝের দিকে তাকিয়ে থাকেন। বিচারক আসন নিলে তাকে উঠে দাঁড়াতে বলা হয়। তখন তিনি উঠে দাঁড়িয়ে বিচারকের দিকে মুখ ফেরান।
রাষ্ট্রপক্ষে পুলিশ হেফাজতের আবেদনের শুনানি শুরু হলে হতবিহ্বল চোখে মজনু বিচারকের দিকে তাকিয়ে থাকেন। তাকে কাঁপতে দেখা যয়।
শুনানিতে ঢাকার মহানগর দায়রা জজ আদালতের প্রধান কৌঁসুলি আবদুল্লাহ আবু বলেন, মামলাটি ‘অত্যন্ত স্পর্কাতর’, এর সুষ্ঠু তদন্তের জন্য মজনুকে রিমান্ডে নেওয়া দরকার।
“সে একজন ‘হ্যাবিচুয়াল অফেন্ডার’। আরো তথ্য উদ্ঘাটনের জন্য এবং তার সঙ্গে আরো কেউ ছিল কিনা তা জানার জন্য তাকে ১০ দিনের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা জরুরি।”
রিমান্ড আবেদনের পক্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুষদের শিক্ষার্থীদের সংগঠন বাংলাদেশ আইন সমিতির কয়েকজন আইনজীবী সদস্য রিমান্ড আবেদনের পক্ষে এজলাসে দাঁড়ান।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীরা হাজির থাকলেও এসময় ধর্ষণের আসামি মজনুর পক্ষে কোনো আইনজীবী দাঁড়াননি। কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে আসামিও কোনো কথা বলেননি। তাকে বিচারকও কিছু জিজ্ঞাসা করেননি।
শুনানি শুরুর ৫-৬ মিনিটের মধ্যেই শেষ হয়। ১০ দিনের হেফাজতের আবেদন শুনে বিচারক সাত দিন মঞ্জুর করে এজলাস থেকে নেমে যান।
এর আগে দুপুরে ব্যাপক পুলিশের উপস্থিতে কড়া নিরাপত্তার মধ্যে মজনুকে কোর্ট হাজতে নিয়ে আসা হয়।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় বর্ষের ওই ছাত্রী শেওড়ায় বান্ধবীর বাসায় যাওয়ার পথে ৫ জানুয়ারি সন্ধ্যায় কুর্মিটোলায় বাস থেকে নামার পরপরই আক্রান্ত হন। পেছন থেকে মুখ চেপে ধরে তাকে তুলে সড়কের পাশে নিয়ে ধর্ষণ করা হয় তিন ঘণ্টা ধরে।