ধর্ষণে গ্রেপ্তার যুবকের কাছে ঢাবি ছাত্রীর মোবাইল ফোন

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী ধর্ষণের ঘটনায় গ্রেপ্তার যুবকের কাছ থেকে তার মোবাইল ফোন উদ্ধার করেছে র‌্যাব।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 8 Jan 2020, 06:48 AM
Updated : 8 Jan 2020, 08:36 AM

র‌্যাবের এক কর্মকর্তা বুধবার দুপুরে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “গ্রেপ্তার যুবকের কাছ থেকে ওই ছাত্রীর মোবাইল ফোন এবং একটি চার্জার পাওয়া গেছে। ভোরে তাকে ধর্ষণকারী হিসেবে শনাক্ত করেছেন ভিক্টিম।

“তার নাম মজনু, বাড়ি নোয়াখালী। সে পেশায় ফুটপাতের হকার। ওই এলাকায় হকারি করার পর রাতে আশপাশেই থাকে। ছিনতাইসহ বিভিন্ন অপরাধের সাথে সে জড়িত।”

মঙ্গলবার সকালে গাজীপুর থেকে এই ব্যক্তিকে সন্দেহভাজন হিসেবে গ্রেপ্তার করার কথা গভীর রাতে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান র‌্যাবের মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক সারোয়ার বিন কাশেম।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় বর্ষের ওই ছাত্রী শেওড়ায় বান্ধবীর বাসায় যাওয়ার পথে রোববার সন্ধ্যায় কুর্মিটোলায় বিমানবন্দর সড়কে বিশ্ববিদ্যালয়ের বাস থেকে নামার পরপরই আক্রান্ত হন। পেছন থেকে মুখ চেপে ধরে তাকে তুলে সড়কের পাশে নিয়ে ধর্ষণ করা হয়।

কয়েক ঘণ্টা পর চেতনা ফিরে পেয়ে ওই ছাত্রী বান্ধবীর বাসায় যান। রাতেই তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে ভর্তি করা হয়। পরদিন ক্যান্টনমেন্ট থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন তার বাবা।

ওই মামলায় বলা হয়েছে, ধর্ষক যুবকের বয়স ২৫ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে। উচ্চতা প্রায় ৫ ফুট ৪ ইঞ্চি, গায়ের রং শ্যামলা। স্বাস্থ্য মাঝারি। ঘটনার সময় তার চুল ছোট ছোট ছিল।

“স্যান্ডেল পরা এই যুবকের পরনে পুরাতন জিন্সের প্যান্ট ছিল। গায়ে ময়লা কালো রংয়ের ফুলহাতা জ্যাকেট ছিল।”

কুর্মিটোলায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের ঘটনাস্থল থেকে সোমবার দুপুরে আলামত সংগ্রহ করে সিআইডি।

ঘটনার বিবরণে মামলায় বলা হয়, ওই ছাত্রী বাস থেকে নেমে আর্মি গলফ ক্লাব মাঠ সংলগ্ন স্থানে পৌঁছালে ধর্ষক যুবক পেছন দিক থেকে তার গলা ধরে ফুটপাতের পাশে মাটিতে ফেলে দিয়ে গলা চেপে ধরে। এ সময় ওই শিক্ষার্থী অজ্ঞান হয়ে পড়লে তাকে ধর্ষণ করে। পরে জ্ঞান ফিরলে ওই ছাত্রীকে মারধর করে ভয়ভীতি দেখায়। এ সময় তাকে বিভিন্ন বিষয়ে জিজ্ঞাসা করে।

“ধর্ষক পরে শিক্ষার্থীর মোবাইল ফোন, হাত ঘড়ি, একটি ব্যাগ, নগদ দুই হাজার টাকা ছিনিয়ে নেয়।”

ক্যান্টনমেন্ট থানার এই মামলা তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে গোয়েন্দা পুলিশ। তবে র‌্যাবসহ পুলিশের অন্যান্য বিভাগও তদন্ত চালাচ্ছে।

এদিকে সহপাঠী ধর্ষিত হওয়ার খবর প্রকাশের পর রোববার রাত থেকে ধর্ষকের গ্রেপ্তার ও সর্বোচ্চ শাস্তির দাবিতে বিক্ষোভ করছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। মঙ্গলবার টানা দ্বিতীয় দিন বিক্ষোভ, সমাবেশ, মানববন্ধনসহ নানা প্রতিবাদী কর্মসূচিতে দিনভর উত্তাল ছিল ক্যাম্পাস।