প্রশান্ত কুমারের বিরুদ্ধে পৌনে ৩০০ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদের মামলা

অবৈধ ব্যবসা ও কার্যক্রমের মাধ্যমে পৌনে ৩০০ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে এনআরবি গ্লোবাল ব্যাংকের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রশান্ত কুমার হালদারের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 8 Jan 2020, 12:45 PM
Updated : 8 Jan 2020, 12:45 PM

বুধবার কমিশনের সমন্বিত জেলা কার্যালয়, ঢাকা-১ এ দুদকের সহকারী পরিচালক মামুনুর রশীদ চৌধুরী বাদী হয়ে মামলাটি করেন বলে সংস্থার জনসংযোগ কর্মকর্তা প্রনব কুমার ভট্টাচার্য্য বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানিয়েছেন।

মামলায় বলা হয়, প্রশান্ত কুমার অসৎ উদ্দেশ্যে বিভিন্ন অবৈধ ব্যবসা ও অবৈধ কার্যক্রমের মাধ্যমে জ্ঞাত আয়ের উৎসের সাথে অসংগতিপূর্ণ ২৭৪ কোটি ৯১ লাখ ৫৫ হাজার ৩৫৫ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জন করেন।

এসব সম্পদ অর্জন করে নিজের দখলে রাখা, অর্থের উৎস, প্রকৃতি, অবস্থান, মালিকানা নিয়ন্ত্রণ উৎস আড়াল করাসহ অন্যান্য অভিযোগে তার বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন- ২০০৪ এর ২৭(১) ও মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন- ২০১২ এর ৪(২) ও ৪(৩) ধারায় অভিযোগ আনা হয়।

মামলায় বলা হয়, লিপরো ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেড ও পিঅ্যান্ডএল ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেড ছাড়াও বিভিন্ন কাগজে কোম্পানিতে প্রশান্ত কুমার হালদারের ১২৩ কোটি ৬৪ লাখ টাকার সম্পত্তি রয়েছে, যা তিনি অবৈধভাবে অর্জন করেছেন।

অন্যদিকে তিনি ময়মনসিংহের ভালুকায় ৫৮৯ শতক জমি কিনেছেন, কিন্তু এর কোনো আয়ের উৎস তিনি দেখাতে পারেননি। তিনি ছলছাতুরির আশ্রয় নিয়ে বেনামে (অন্যদের নামে) ৫ কোটি ৭০ লাখ টাকা রেপটাইলস ফার্মের নামে প্রতিষ্ঠানে বিনিয়োগ করেছেন।

এছাড়া প্রশান্ত কুমার নর্দান জুট ম্যানুফ্যাকচারিং কোম্পানিতে বেনামে ৩৩ লাখ টাকা, সিমটেক্স ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডে বেনামে ২৩ কোটি ৩৮ লাখ টাকা, আজিজ ফেবরিক্স লিমিটেডে বেনামে ৬৩ লাখ টাকা, আনান কেমিকেল ইন্ডাস্ট্রিজে বেনামে চার কোটি ৯০ লাখ টাকা, একইভাবে ক্লীউইস্টন ফুড অ্যান্ড একোমোডেশনে ৩১ কোটি ৪৫ লাখ ২৬ হাজার ৪০০ টাকা, রহমান কেমিকেলে ৭০ লাখ টাকা বেনামে বিনিয়োগ করেন।

প্রশান্ত কুমার হালাদার কয়েকটি ব্যাংক ও লিজিং কোম্পানির শীর্ষ পর্যায়ের কর্মকর্তা থাকা অবস্থায় এসব টাকা উপার্জন করেন। এসব টাকা আয়ের কোনো বৈধ উৎস নেই উল্লেখ করে তা প্রশান্ত কুমার হালদারের অবৈধ সম্পদ বলে মামলায় বলা হয়।